আর কি-ই বা করতে পারতেন শরিফুল ইসলাম? দুইবার হাত ফসকে যাওয়া ম্যাচটার মোমেন্টাম নিজেদের পক্ষে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। ফরচুন বরিশালের অদম্য লঞ্চের সামনে উত্তাল স্রোত হিসেবেই হাজির হয়েছিলেন তিনি।
চিটাগং কিংসকে প্রথম শিরোপার স্বাদ দিতে যা যা করা সম্ভব, সম্ভবত তার কিছুই বাদ রাখেননি তিনি। হিরো হতে হতে নামের আগে জুড়ে গেল অনাকাঙ্ক্ষিত ট্রাজিক শব্দটাও।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে ৪ ওভারে নিলেন ৩৪ রানে চার উইকেট। কিন্তু শুধু এই স্কোরকার্ড কি তার ইমপ্যাক্টের কথা তুলে ধরতে পারে? উত্তরটা সোজা, একদমই না। বরিশাল যখন ১৯৫ রানের বিশাল পাহাড়ও হেসেখেলেই টপকে যাচ্ছিলো, তখনই ত্রাতা হয়ে হাজির হয়েছিলেন শরিফুল।
উড়ন্ত তামিমকে সাজঘরে ফেরানোর তিন বল পরেই ফেরান বিধ্বংসী ডেভিড মালানকেও। ম্যাচে ফেরান চিটাগংকেও। আবারও দিশাহারা চিটাগংকে মোমেন্টাম এনেদেন শরিফুল। ১৮ তম ওভারে ঝড় তোলা কাইল মার্য়াসকে ফিরিয়ে আবারও জয়ের আশা দেন তিনি।
ঠিক দুই বল পরেই মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে চিটাগাংকে জয়ের সব রসদই এনে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষের সারির ব্যাটারদের বিপক্ষেও বাকি কাজটা আর সারতে পারেনি চিটাগং কিংসের অন্য বোলাররা। কিংবা রিশাদের এক ক্যামিওর কাছেই শিরোপা হারালো চট্টগ্রাম।
বরিশালের টানা শিরোপার পথে সবচেয়ে বড় কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই শরিফুল। টুর্নামেন্টও শেষ করলেন ১৭ উইকেট নিয়ে। সব করেও যেন কিছুই করা হলনা, স্রেফ ট্রাজিক হিরো হয়েই ক্ষান্ত হতে হল শরিফুলকে।