ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকের আগে নতুন বিতর্কে জড়ালেন শুভমন গিল। সদ্য একটি ফোটোশুটে তাঁর ব্যাটে খোদাই করা ‘প্রিন্স’ শব্দটি ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা।
যদিও গিলকে ‘প্রিন্স অফ ইন্ডিয়ান ক্রিকেট’ বলে ডাকার রীতি নতুন নয়, তবে সেই উপাধি নিজের ব্যাটে লিখে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত অনেকের চোখে পড়েছে অহংকারপূর্ণ হিসেবে। কেউ কেউ বলছেন, পাঁচ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে বড় মঞ্চে এখনো প্রমাণ দেওয়া বাকি গিলের। তাতেই এত আত্মবিশ্বাস, নাকি আত্মকেন্দ্রিকতা?
এক সমর্থক নিজের টুইটারে লিখেছেন, ‘গিলের ব্যাটে ‘প্রিন্স’ দেখে অবাক হয়েছি। বিদেশে এখনো শতরান নেই, টেস্টে গড় মাত্র ৩৫—এই অবস্থায় নিজেকে রাজপুত্র বলে ঘোষণা করা মানে নিজের ঢাক নিজেই পেটানো।’
তবে বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা বিষয়টি নিয়ে আরও অনেকেই তুলনা টেনেছেন ক্রিকেটের অতীত মহাতারকাদের সঙ্গে। এক সমর্থক লিখেছেন, ‘সচিন কোনও দিন নিজের ব্যাটে ‘গড’ লেখেননি। বিরাট কোহলির ব্যাটেও ‘কিং’ লেখা ছিল না। তাঁরা উপাধি অর্জন করেছেন পারফরম্যান্সের মাধ্যমে, সমর্থকদের ভালোবাসা দিয়ে।’
আধুনিক ক্রিকেটে ব্র্যান্ডিং এবং আত্মপরিচয়ের অংশ হিসেবে অনেকেই ব্যাটে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করেন। উদাহরণস্বরূপ, রোহিত শর্মার ব্যাটে ‘হিটম্যান’ লেখা থাকে, কোহলির একাধিক ব্যাটে দেখা গিয়েছে ‘জিনিয়াস’ শব্দ। তবে সমস্যা তৈরি হয় যখন সেই শব্দ নিজেকে মহিমান্বিত করার প্রতীক হয়ে ওঠে, বিশেষত খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স যদি সেই দাবি সমর্থন না করে।
তবে সব ছাপিয়ে ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে শুভমনের কাছ থেকে প্রত্যাশা অনেক। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে তিনি ব্যাটে ও নেতৃত্বে কতটা ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেন, সেটাই হয়তো চূড়ান্তভাবে ঠিক করে দেবে—তিনি আদতে ‘প্রিন্স’ হবেন, না কি এই উপাধি কেবলই ফোটোশুটের জন্য।