ইংল্যান্ড থেকে উড়ে আসা লাহোরের ‘রাজা’

ম্যাচ শুরুর দশ মিনিট আগে স্টেডিয়ামে ঢুকলেন সিকান্দার রাজা, আর বের হলেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে। তার ব্যাটের আঘাতে লেখা হল লাহোর কালান্দার্সের শিরোপা জয়ের উল্লাস।

ম্যাচ শুরুর দশ মিনিট আগে স্টেডিয়ামে ঢুকলেন সিকান্দার রাজা, আর বের হলেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে। তার ব্যাটের আঘাতে লেখা হল লাহোর কালান্দার্সের শিরোপা জয়ের উল্লাস। কি দারুণ এক চরিত্র! কি অদম্য এক মানসিকতা! সিকান্দার রাজা এখন লাহোরের রাজা।

তিন বলে আট রান দরকার। সেই মুহূর্তে একটা বাউন্ডারি ছিল ভীষণ প্রয়োজন । ক্লান্ত শরীরের শেষ শক্তিটুকু নিঙড়ে ব্যাট চালালেন সিকান্দার রাজা। বল চলে যায় বাউন্ডারির ওপারে। ছক্কার পর ক্লান্তি যে এক লহমায় উবে গেল। তখন মস্তিষ্ক জুড়েই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি।

রাজা আর অপেক্ষা দীর্ঘায়িত করলেন না। তিনি মিডউইকেট দিয়ে এবার চার হাঁকালেন। মুহূর্তের মধ্যে লাহোরের সবুজ জার্সিতে ছেয়ে গেল স্টেডিয়াম। রাজার উন্মাদনা তখন আর দেখে কে। স্রেফ সাত বলে ২২ রানের এক দূর্দান্ত ইনিংসে তিনি লিখলেন লাহোরের শিরোপা জয়ের রুপকথা।

এর আগে অবশ্য রাজার নায়ক হওয়ার পথটা মসৃণ করেছেন লংকান ব্যাটার কুশল পেরেরা। দলের মিডল অর্ডারের হাল ধরে সচল রেখেছিলেন রানের চাকা। অবশ্য তারই জাতীয় দলের সতীর্থ ভানুকা রাজাপকশে ম্যাচটা প্রায় হারিয়েই দিচ্ছিলেন। ১৬ বলে ১৪ রানের ইনিংসটি রীতিমত এক অন্যায়ের কারণ হত লাহোর ম্যাচটি হেরে গেলে।

২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা লাহোর কালান্দার্সের ভরসার পাত্র ফখর জামান ফিরেছিলেন দ্রুতই। তবুও মোহাম্মদ নাঈম ও আবদুল্লাহ শফিক লাহোরের সকল আশা ভরসা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। এই দুই জনের দ্রুতগতির ৪০ ছাড়ানো ইনিংসের উপর ভর দিয়েই শেষ অবধি জয়ের মাইলফলক স্পর্শ করিয়েছেন সিকান্দার রাজা।

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত লাহোর কালান্দার্স জিতেছে শিরোপা। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্স ফাইনালে এসে খেই হারাল। শাহীন শাহ আফ্রিদির দল চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে শেষ অবধি দশম পাকিস্তান সুপার লিগের শিরোপা উঁচিয়ে ধরল।

Share via
Copy link