চারিদিকে এক উৎসবের আমেজ। বদলে যাওয়া ফুটবলের নবজাগরণের গান বেজে উঠেছে সর্বত্র। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি চ্যাম্পিয়নশীপের বাছাইপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র উত্তেজনা। জয়ের জন্যে মরিয়া বাংলাদেশ। কিন্তু এই সিঙ্গাপুরের সাথে নেই কোন জয়ের রেকর্ড।
র্যাংকিংয়ে দুই দলের তফাৎ ২২। সিঙ্গাপুর আছে ১৬০তম স্থানে। বাংলাদেশের অবস্থান ১৮২। তবে মাঠের খেলা নিশ্চয়ই র্যাংকিং দেখে হয় না। ওই সবুজ গালিচায় ৯০ মিনিটে নির্ধারিত হয়, কোন দল সেরা। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ দল আশাবাদী হলেও ইতিহাসে আশার বাতি জ্বালিয়ে রাখার জ্বালানি প্রায় শূন্যের কাছাকাছি।
এখন পর্যন্ত দুইবার সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। এর মধ্যে একটি ম্যাচেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। ১৯৭৩ সালে এই দুই দলের প্রথম দেখা হয়। মালয়শিয়াতে অনুষ্ঠিত মেরদেকা কাপে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে অবশ্য কোন দলই পায়নি জয়ের দেখা।
১-১ গোলের ড্রতে শেষ হয়েছিল ম্যাচ। এরপর কেটে গেছে বহুকাল। সিঙ্গাপুরকে প্রতিপক্ষ হিসেবে আর পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। ২০১৫ সালে অবশ্য বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের এক ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। ঘরের মাঠে অবশ্য সেবার পরাজিত হয়েছিল বাংলাদেশ।
২-১ গোলের ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল সিঙ্গাপুর। সেই ম্যাচে অবশ্য বাংলাদেশ এগিয়ে গিয়েছিল প্রথমার্ধে। কর্ণার থেকে সে সময়ে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মামুনুল হক বল বাড়িয়ে দেন ডি-বক্সে। সেই বলে পায়ের ছোঁয়ায় গোল আদায় করেন ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধুরি। কিন্তু শেষ অবধি ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল সিঙ্গাপুর।
এখন পালা সেই ইতিহাস বদলে ফেলার। বাংলাদেশ দল আগের যেকোন বারের তুলনায় বেশ শক্তিশালী। যদিও চোখ রাঙাচ্ছে ইখসান ফান্দি। দেখার বিষয় দশ জুনের ম্যাচটি বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের নবজাগরণ সত্যিকার অর্থেই নিয়ে আসতে পারে কি-না।