ছয় গোলের থ্রিলার

মুহূর্তে মুহূর্তে খেলার রং পাল্টালো। গোল হল ছয়টা। তবে, তাতে শেষ হাসি হাসতে পারল না কোনো দলই। গোল বন্যার এক থ্রিলারে ড্র করল ক্যামেরুন ও সার্বিয়া।

ম্যাচের প্রথমার্ধটা ছিল বেশ শ্বাসরুদ্ধকর। আক্রমণে ক্যামেরুনের চেয়ে এগিয়েই ছিল সার্বিয়া। তবে, ম্যাচের ২৯ মিনিটে স্রোতের বিপরীতে গোল করে এগিয়ে যায় ক্যামেরুন। জিন-চার্লস ক্যাসটেলেটো গোল করেন। পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে সার্বিয়া।

আর তার সুফলও পায় তাঁরা। লম্বা ইনজুরি টাইমের শুরুকে ফ্রি কিক থেকে উঠিয়ে দেওয়া বলে হেড করে বল ক্যামেরুনের জালে জড়ান স্ট্রাহিনজা পাভলোভিচ। সমতায় ফেরে সার্বিয়া।

ওই ইনজুরি টাইমের শেষে আবারও গোল। সারগেজ মিলিঙ্কোভিচ-সাভিচের করা গোলে এগিয়ে যায় সার্বিয়া। ইউরোপিয়ানরা লিড পায় ২-১ গোলের।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এক তরফাই ছিল লড়াই। মুহুর্মুহ আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিল সার্বিয়া। ৫৩ মিনিটে অ্যালেক্স্যান্ডার মিত্রোভিচের গোলে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় সার্বিয়া।

তখনও পর্যন্ত ম্যাচে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছে সার্বিয়া। তবে, ক্যামেরুন যেন মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচের গতি বিধি পাল্টে দিল। ৬৩-৬৬ এই তিন মিনিটে দু’টো গোল পরিশোধ করে ক্যামেরুন।

গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সার্বিয়া। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি। ৩-৩ গোলের ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দু’দলকে। তবে, এই ড্র-এ দু’দরেরই বিপদ কার্যত বাড়ল। দু’দলই আছে প্রথম পর্ব থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার শঙ্কায়। প্রথম ম্যাচে দু’দলই হেরেছে।

শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের প্রতিপক্ষ খোদ পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। অন্যদিকে, সার্বিয়াকে খেলতে হবে সুইজারল্যান্ডের সাথে। বাঁধা পেরোতে হলে দু’দলকেই হারাতে হবে নিজেদের চেয়ে বড় শক্তিকে।

ম্যাচের আগে পরিসংখ্যান অবশ্য সার্বিয়ার পক্ষে কথা বলছিল না।  এর আগেও তিনটি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে সার্বিয়াকে। এর আগে শেষ ১০ টি বিশ্বকাপ ম্যাচের আটটিতেই হেরেছে তারা। কোন ইউরোপীয়ান দেশ হিসেবে যা সর্বোচ্চ। এবার ক্যামেরুনের বিপক্ষে ভাল খেলেও তাঁদের জয় বঞ্চিতই হতে হল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link