ওভাল টেস্টের এখনও তিনদিন বাকি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফয়সালা হতে আরও তিনদিন বাকি।
হ্যাঁ, আমি এরকম হোপলেস আশাবাদীই বটে। মনে মনে আশা করছি, শার্দুল ঠাকুর আর শ্রীকর ভরতকে নিয়ে আজিঙ্কা রাহানে ফার্স্ট ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার লিড ৫০-১০০র মধ্যে নামিয়ে আনতে সক্ষম হবে। তারপর গেম ইভন! এর জন্য যা খিল্লি করার, করে নিন।
তবে আপাতত বক্তব্য অন্য। এই টেস্টের রেজাল্ট যা-ই হোক, ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টকে পরবর্তী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কথা মাথায় রেখে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
১.
চারজন সিনিয়র টপ-অর্ডার ব্যাটারের মধ্যে খুবজোর একজনকে (ফিটনেস, বয়স ও ফর্মের বিচারে রেকমেন্ডেড: কোহলি) কন্টিনিউ করা হোক। বাকি জায়গাগুলোর জন্য যশস্বী জয়সোয়াল, শ্রেয়স আইয়ার, সরফরাজ খান, ধ্রুব শোরে (যদিও বয়স ফ্যাক্টর), পৃথ্বী শ, অভিমন্যু ঈশ্বরণ – দের থেকে বেছে নেওয়া হোক। ময়াঙ্ক এবং হনুমা বিহারীকেও এই গ্রুপে রাখা যেতে পারে।
২.
তৃতীয়/চতুর্থ পেসার/অলরাউন্ডার হিসেবে শার্দুল ঠাকুরের পাশাপাশি হার্দিক পান্ডিয়াকেও রেডি করা হোক। স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে রবীন্দ্র জাদেজা/অক্ষর প্যাটেল।
৩.
রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে আপাতত টিমে নিশ্চিত করে রাখা হোক। সম্ভব হলে ক্যাপ্টেনও। যে অবিচার অনিল কুম্বলে-র প্রতি হয়েছে, সেই একই অবিচার অশ্বিনের প্রতিও হতে দেখে খারাপ লাগছে।
৪.
ঋষাভ পান্ত ফিরে তো আসবেই। তবে ব্যাক-আপ হিসেবে ভরতের চেয়ে ঈশান কিষাণ ভাল অপশন। কিপিং-এ উন্নতি খেলতে-খেলতেও অনেকটাই করে নেওয়া যায়, মহেন্দ্র সিং ধোনিই তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। সর্বোপরি, ভরতের কিপিংও এমন কিছু আহামরি পর্যায়ের নয়।
৫.
পেস অ্যাটাকের পরিকল্পনা জাসপ্রিত বুমরাহকে বাদ রেখেই করতে হবে। সামি, সিরাজের সঙ্গে আকাশদ্বীপ, আর্শদ্বীপসিং, মুকেশ কুমার, উমরান মালিক – দের গ্রুপটাকেই তৈরি করতে হবে।
৬.
বাদ দেওয়া তিন সিনিয়রকে (রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পূজারা, আজিঙ্কা রাহানে) পরিষ্কার বলা হোক – ফিটনেস এবং ফর্মের মাপকাঠিতে কোন জায়গায় পৌঁছলে তবে তাদের কথা ভাবা হবে বা আদৌ হবে কিনা। ঋদ্ধিমান সাহা নিজের প্রাইমারি স্কিলের চূড়ায় থাকতে থাকতে যদি পরিকল্পনা থেকে বাদ যেতে পারেন, ফর্মেশনের কারণে, তাহলে এই টিমে এঁদেরও থাকার কথা নয়।