আশরাফুল ঝড়ে আবাহনীর হোঁচট

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শুরু থেকেই নিয়মিত রান পেয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে রান পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। অবশেষে সুপার লিগের চতুর্থ ম্যাচে এসে বড় রানের দেখা পেয়েছেন তিনি। আশরাফুলে ৪৮ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ভর করেই আবাহনীকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

শেখ জামালের জয়ে ব্যাট হাতে আরো অবদান রেখেছে নুরুল হাসান সোহান ও নাসির হোসেন। আজকের ম্যাচ হেরে শিরোপার লড়াইয়ে হোচট খেলো আবাহনী। শিরোপা জিততে হলে পরের ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের সাথে বড় ব্যবধানে জিততে হবে আবাহনীকে।

তবে জয়টা সহজে আসলেও আবাহনীর দেওয়া ১৭৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শেখ জামালের। ইনিংসের শুরুতেই ফিরে যান সৈকত আলী (২) ও ইমরুল কায়েস (৩)। ১২ রানে ২ উইকেট হারানো শেখ জামালের হাল ধরেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও নাসির হোসেন।

তৃতীয় উইকেটে দুজনের ৬৯ রানের জুটিতে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় শেখ জামাল। ২২ বলে ৩৬ রান করে নাসির হোসেন ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। তবে নাসির ফিরে গেলেও জয় পেতে সমস্য হয়নি শেখ জামালের। চতুর্থ উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়ে দলের জয় প্রায় নিশ্চিতই করে দেন আশরাফুল ও সোহান।

২২ বলে ৩৬ রান করে সোহান আউট হয়ে গেলে বাকি কাজটা শেষ করেন আশরাফুল ও জিয়াউর রহমান। ৯ বল হাতে রেখেই দলের জয় নিশ্চিত করেন দুজন। ৪৮ বলে ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন আশরাফুল ও ৯ বলে ২২ রান করেন জিয়াউর। আবাহনীর পক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তানজিম হাসান সাকিব, আরাফাত সানি ও আমিনুল ইসলাম।

চোটের কারণে লিটন খেলতে পারেননি গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচও। চোট কাটিয়ে সুপার লিগ দিয়ে মাঠে ফিরলেও ব্যর্থ ছিলেন প্রথম তিন ম্যাচে। অফ ফর্মের কারণে ওপেনিংয়ে জায়গা হারিয়ে আজ তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ছিলেন তিনি। তিন নম্বরে নেমেই নিজকে খুঁজে পেয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।

দল হারলেও ৫১ বলে ৭০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন লিটন। লিটনের ইনিংসে ভর করেই শেখ জামালকে ১৭৪ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছিল আবাহনী। তবে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা আবাহনীর শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের শুরুতে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান দারুণ ছন্দে থাকা মুনিম শাহরিয়ার।

দলীয় ১ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেণ নাঈম শেখ ও লিটন দাস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৬৮ রান। ২৮ বলে ৪২ রান করে নাঈম ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। এরপর ৬ রান করা নাজমুল হোসেন শান্ত রান আউটের ফাঁদে পড়লে ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১৭ বলে ১৬ রান করে ফিরে গেলে ১০৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আবাহনী।

এবার ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে উদ্ধার করেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হয়ে যান দুই জনই। ৫১ বলে ৭০ রান করে লিটন রান আউট হয়ে যাওয়ার পরের বলেই ১৫ বলে ১৯ রান করে ফিরে যান আফিফ।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে আবাহনী। শেখ জামালের পক্ষে দুটি করে উইকেট শিকার করেন মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি ও জিয়াউর রহমান।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

আবাহনী লিমিটেড: ১৭৩/৭ (ওভার: ২০; নাঈম- ৪২, লিটন- ৭০, মোসাদ্দেক- ১৬, আফিফ- ১৯) (মিনহাজুল- ৪-০-২৫-২)

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ১৭৫/৪ (ওভার: ১৮.৩; আশরাফুল- ৭২*, নাসির- ৩৬, সোহান- ৩৬, জিয়াউর- ২২*) (আমিনুল- ৩-০-২৭-১)

ফলাফল: শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৬ উইকেটে জয়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link