টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট গোটা দুনিয়ায় এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ হচ্ছে রান। আরো স্পষ্ট করে বললে চার-ছয়ের ফোয়ারা। দর্শকরা ব্যাটসম্যানদের কাছে রানের ফুলঝুরি দেখতে পছন্দ করেন। আর এই ফরম্যাটে ব্যাটসম্যানরাও দ্রুত রান করার জন্য দর্শনীয় সব শট খেলেন। ফলে সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রতি মানুষের আগ্রহও বাড়ছে।
তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এর উল্টো চিত্রও দেখিয়েছেন কেউ কেউ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধীরগতির ইনিংস খেলে রেকর্ড করেছেন তাঁরা। কেউ কেউ দলের জন্য বড় বিপদের কারণও হয়েছেন। বিশ্বকাপে অন্তত ৩০ বল খেলা কোনো ইনিংসে সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা ব্যাটসম্যানদের নিয়ে এই তালিকা।
- ডেভিড ওবুয়া (কেনিয়া)
২০০৭ বিশ্বকাপের একটি ইনিংস দিয়ে এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ডেভিড ওবুয়া। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে ধীর গতির এক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে ৩৩ বল খেলে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ১৮ রান। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ৫৪.৫৪। তাঁর ওই ইনিংসে ছিল মাত্র একটি চার।
- গ্যারি উইলসন (আয়ারল্যান্ড)
গ্যারি উইলসন এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধীরগতির এক ইনিংস খেলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই এই ইনিংসটি খেলেছিলেন তিনি। সেদিন প্রায় ৪০ মিনিট ব্যাটিং করেছিলেন আয়ারল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান। সেখানে ৩৪ বল খেলে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ১৭ রান। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ৫০.০০। ইনিংসটিতে ছিল না কোন বাউন্ডারিও।
- লেন্ডল সিমন্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
লেন্ডল সিমন্সের এই ইনিংসটি গোটা দুনিয়াকেই অবাক করেছে। ধীরগতির এই ইনিংসটি খেলার পর তীব্র সমালোচনার শিকারও হয়েছেন তিনি। ২০১০ বিশ্বকাপের পর আর কোন বিশ্বকাপে এত ধীরগতির ইনিংস খেলেনি কেউ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই আসরের ম্যাচটিতে প্রায় ৬১ মিনিট ব্যাট করেছেন তিনি। সেখানে ৩৫ বল খেলে ৪৫.৭১ স্ট্রাইকরেটে করেছেন মাত্র ১৬ রান। তাঁর এই ইনিংসটিতে কোন বাউন্ডারিও ছিল না।
- মাজিদ হক (স্কটল্যান্ড)
আবারো ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরে যেতে হচ্ছে। সেই বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের মাজিদ হক বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ধীরগতির ইনিংসটি খেলেছিলেন। ডারবানে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৩১ বল খেলে করেছিলেন মাত্র ১৪ রান। সেই ইনিংসে তাঁর স্ট্রাইকরেট ছিল ৪৫.১৬। ইনিংসটিতে কোন বাউন্ডারির মারও ছিল না।
- অলক কাপালি (বাংলাদেশ)
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে ধীরগতির ইনিংসটি খেলেছেন অলোক কাপালি। বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ২০০৭ সালেই এই ইনিংসটি খেলেছিলেন তিনি। এরপর আর বিশ্বকাপে এত কম স্ট্রাইকরেটে কেউ ব্যাটিং করেনি। সেদিন ৩৫ বল খেলে এই ব্যাটসম্যান করেছিলেন মাত্র ১৪ রান। ছিল না কোন বাউন্ডারিও। কেপ টাউনে অলোক কাপালি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেদিন ব্যাটিং করেছিলেন ৪০.০০ স্ট্রাইকরেটে।