বহুদূর এলেন বটে স্টিভেন স্মিথ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যা কিছু তিনি করেছেন তা কি যথেষ্ট? মোহাম্মদ শামির এক ফুলটস বল পড়তে পারলেন না। বোল্ড হয়ে ফিরলেন ৭৩ রানে। ভারতের বিপক্ষে বৈশ্বিক আসরের নকআউটে এটি তার দ্বিতীয় পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস।
ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় আস্থার জায়গা ছিল ট্রাভিস হেড। তাকে আউট করে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু স্টিভেন স্মিথের ছিল ভিন্ন পরিকল্পনা। তিনি ভারতের বোলারদের উপর শাসন করবার মানসিকতা নিয়েই নেমেছিলেন বাইশ গজে।
পঞ্চাশ ওভারের বৈশ্বিক আসরে এই নিয়ে তিনবার ভারতের বিপক্ষে নকআউট ম্যাচ খেলতে নেমেছেন স্টিভেন স্মিথ। আগের দু’টো দেখায় একবার তার ব্যাট হেসেছিল, আরেকবার স্বল্প রানেই স্মিথ ফিরেছিলেন প্যাভিলিয়নে। তবে প্রতিবারই জয়ের বিস্তৃত হাসি নিয়েই মাঠ ছেড়েছিল অজিরা।
এর আগে ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছিলেন স্মিথ। ভারতের বিপক্ষে সেদিন এক অনবদ্য সেঞ্চুরি হাঁকান। এরপর এবার অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহের ভীত গড়ে দেওয়ার কাজটা করলেন। শুরুর দিকে চাপে পড়েছিল অজিরা। কুপার কনোলি আউট হয়েছিলেন শূন্যরানে। এরপর স্বভাবজাত পালটা আক্রমণ শুরু করেন ট্রাভিস হেড।
কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৯ রানে হেড ফিরে গেলে অস্ট্রেলিয়ার বুকে ভয়ের সঞ্চার ঘটে। সেই ভয় কাটানোর কাজটা অধিনায়ককেই করতে হতো। স্মিথ সে কাজই করলেন। কিন্তু যোগ্য সঙ্গ পেলেন না। অপরপ্রান্ত থেকে একের পর এক উইকেট পতন হতে থাকে। স্মিথ চাপ শুয়ে নিয়েছিলেনও বটে। কিন্তু তবুও আউট হওয়া বলটার নিশ্চয়ই কোন উত্তর নেই স্মিথের কাছে।
ওমন একটা ডেলিভারিতে আউট হওয়া স্মিথের জন্যে রীতিমত অন্যায়। তিনি থাকাকালীন অস্ট্রেলিয়া স্বপ্ন দেখছিল, ৩০০ রানের বেশি সংগ্রহের। কিন্তু তার প্রস্থানের পর দ্রুতই ফিরে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ভারতের ইনফর্ম ব্যাটিং অর্ডারের বিপক্ষে কোন টার্গেটই যে যথেষ্ট নয়।