এনজো ফার্নান্দেজের গোল, ঘড়ির কাঁটা তখনো দুই অঙ্কের ঘরে পা রাখেনি। চেলসির সমর্থকেরা নির্ঘাত দুর্দান্ত একটা ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় নড়েচড়ে বসেছিল। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেলো, ধারে খেলতে আসা দুই ফরোয়ার্ড কি করে বসলেন! মার্কাস রাশফোর্ড আর মার্কো আসেনসিও, নামে খানিকটা মিল আছে আবার নেই। তবে তাঁদের খেলায় ছন্দ ঠিকই আছে; তা নাহলে দুই দুইবার এভাবে যুগল হয়ে উঠা সম্ভব হতো না।
৫৭ মিনিটের মাথায় অ্যাস্টন ভিলার জার্সিতে নিজের প্রথম গোল পেয়ে যান আসেনসিও, একই সাথে প্রথম অ্যাসিস্ট পান রাশফোর্ড। আবার ম্যাচের শেষদিকে রাশফোর্ডের ক্রস থেকে জয়সূচক গোল আদায় করেন আসেনসিও। তাতেই টপ ফোরে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হলো চেলসির। দুই মাস আগেও যে দলটা ছিল শিরোপার দাবিদার, তাঁরা এখন খাবি খাচ্ছে তলানিতে।
প্রিমিয়ার লিগে অবশ্য অঘটনের রাত পার হয়েছে, পাল্লা দিয়ে বড় দলগুলো ছোট দলের কাছে মান সম্মান খুইয়েছে। এইতো ওয়েস্ট হ্যামের সাথে খেলতে নামা আর্সেনাল, লিভারপুলের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমানোর সুযোগ হাতছাড়া করলো তাঁরা।
জ্যারেড বোউনের একমাত্র গোলে হেরে বসেছে গানার্সরা। যদিও মাইলস লুইস স্কেলি লাল কার্ড হজম না করলে হয়তো ভিন্ন কোন ফলাফল হতে পারতো। এর ফলে অলরেডদের সঙ্গে আট পয়েন্টের ব্যবধানই রয়ে গেলো, সেই সঙ্গে ম্লান হলো শিরোপার স্বপ্ন।
আর্সেনাল, চেলসি হারলেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অবশ্য পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পেরেছে। গডিসন পার্কে শুরুতেই দুই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়েছিল তাঁরা, ক্ষণ গুনছিলো আরো একটা পরাজয়ের। তবে অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজের দুর্দান্ত ফ্রি কিক এবং ম্যানুয়েল উগার্তের প্রথম গোলের সুবাদে সমতায় ফেরে দলটা।
আপাতত প্রিমিয়ার লিগে অনেকটাই স্থিতি নেমে এসেছে, কেউ লিভারপুলকে টেক্কা দিবে সেই সম্ভাবনা প্রতি ম্যাচের পরই কমে আসছে। যদিও টপ ফোর নিয়ে এখনো বলা যাচ্ছে না চূড়ান্ত কিছু – ইউরোপের সবচেয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ লিগের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।