বরাবরই একজন ফিনিশানের অভাব দেখা দেয় বাংলাদেশ জাতীয় দলে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। সে পজিশনের জন্যে এক সময় বিবেচিত হয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। তবে মাঝে দারুণ ভুগেছে বাংলাদেশ, তখন অবশ্য উপেক্ষিত ছিলেন তিনি। তবে ফিনিশিংয়ের পাশাপাশি দায়িত্বশীল ব্যাটিংও করতে জানেন তিনি।
সে প্রমাণ রাখলেন এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে। খুলনা বিভাগ বেশ ধুকছিল। ৬৭ রানে খুলনার ৫ উইকেট তুলে নেয় সিলেটের বোলাররা। ৭৭ রানে নেই ৬ উইকেট। এমন এক পরিস্থিতি থেকে দলীয় সংগ্রহকে একটা ভদ্রস্থ চেহারা দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান।
একটা দারুণ দায়িত্বশীল ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ৩৪টি বল খেলেছেন। ৪৮ রান নিয়েছেন দুই চার ও তিন ছক্কার সহয়তায়। ইনিংসের শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে, ১৪৪ অবধি নিয়েছেন দলের সংগ্রহ।
১৪১ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালিয়েছেন। ছোট ছোট কিন্তু ম্যাচে টিকে থাকার মত জুটি গড়েছেন। তার সঙ্গী হিসেবে অধিকাংশ সময়েই ছিলেন টেলএন্ডার ব্যাটাররা। এমন সব মুহূর্ত সামাল দিতে বেশ পটু সোহান। তিনি যেমন ইনিংসের হাল ধরতে জানেন, ঠিক তেমনি ব্যাটিং গিয়ারও পরিবর্তন করতে পারেন।
আবার উইকেটের পেছনে দস্তানা হাতেও বড্ড চতুর সোহান। তাছাড়া তার অধিনায়কত্বও প্রশংসা কুড়িয়েছে ঘরোয়া সার্কিটে। ট্রফি জেতার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। তবুও জাতীয় দলের জন্যে খুব একটা বিবেচিত হন না।
অধিকাংশ সময়েই আলোচনার বাইরে থেকে যান তিনি। তবে সেসব নিয়ে যেন ভ্রুক্ষেপ নেই সোহানের। তিনি যখন যেখানে সুযোগ পান, নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখেন।