আগের দিন বৈভব সুরিয়াভানশি ৩২ বলে করলেন সেঞ্চুরি। সেটাই যেন অনুপ্রেরণার যোগান দিল বাংলাদেশের হাবিবুর রহমান সোহানকে। আর তাতেই স্রেফ ৩৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকালেন বাংলাদেশের ডানহাতি ব্যাটার। যে কোন পর্যায়ের ক্রিকেটে এটি বাংলাদেশের ব্যাটারদের দ্রুততম সেঞ্চুরি। সেই সাথে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেছেন সোহান।
প্রলয়, ধ্বংসলীলা, তাণ্ডব- হাজার খানেক উপমাও সোহানের এই বিধ্বংসী ইনিংসের জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি যা করে দেখালেন তা রীতিমত কল্পনাতীত। বাংলাদেশের জার্সিতে এতটাও আগ্রাসী হওয়া যায়! এ যেন বিস্ময়ের ঘোর। সোহানের ব্যাটের প্রতিটি সুইংয়ে সৃষ্টি হয়েছে যে আশ্চর্যের বলয়।
২৪ বলে ৮৮ রান তুলে ফেলেছিলেন হাবিবুর রহমান সোহান। ছক্কার বন্যার সূত্রপাত ঘটে তারই ব্যাট থেকে। বাঁধ ভাঙা নদীর মত প্রবল স্রোতে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন সোহান। বাংলাদেশের ব্যাটারদের এতটা আক্রমণাত্মক সত্ত্বা রয়েছে- সে বিশ্বাস যেন কারোই হচ্ছিল না।

বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি তিনি আগেই গড়ে ফেলেছিলেন। স্রেফ ১৪ বলে অর্ধশত রানের মাইলফলক পার করেছেন। এরপরও তিনি থেমে থাকেননি। পরবর্তী দশ বলে তিনি নিজের রানকে তিনি নিয়ে গেছেন শতকের দোড় গোড়ায়। এরপরই খানিকটা খোলসে আটকে যান সোহান।
তার সামনে সুযোগ ছিল, দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়ার। ২৬ বলে সেঞ্চুরি করতে পারলেই তিনি উঠে যেতে পারতেন সবার উপরে। কিন্তু তিনি সে পথে না গিয়ে, বরং নিজের শতকটা নিশ্চিত করতে চাইলেন। ৮৮ থেকে সেঞ্চুরি অবধি যেতে তিনি সময় নিলেন ১১ বল। তবুও সোহানের এমন ব্যাটিং প্রদর্শনকে মোটেও খাটো করে দেখার উপায় নেই।
শতক হাঁকানোর পথে তিনি দশটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন, সাথে আটটি চারের মার এসেছে তার ব্যাট থেকে। প্রায় ২৮৫ ছাড়ানো স্ট্রাইকরেটে চলেছে তার ব্যাট। তার এই দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ের কল্যাণে, খুব সহজেই হংকং, চায়না জাতীয় দলকে হারিয়েছে, বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্সে আকবর আলীর বাংলাদেশের দুরন্ত সূচনা।












