নানান গুঞ্জন আর জল্পনা-কল্পনা শেষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে শ্রেয়াস আইয়ারের। রিটেইন করা ক্রিকেটারদের তালিকা চলতি মাসের মধ্যেই দিতে হবে, কিন্তু লম্বা একটা সময় বর্তমান অধিনায়কের সঙ্গে কোনরূপ যোগাযোগই করেনি কলকাতা। তবে গত রবিবার দুই পক্ষ একত্রে বসেছে, সম্ভাব্য রিটেনশন নিয়ে কথা হয়েছে।
সবশেষ মৌসুমে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন শ্রেয়াস, কিন্তু এতদিন পর্যন্ত তাঁকে আনুষ্ঠানিক কোন প্রস্তাব দেয়নি টিম ম্যানেজম্যান্ট। এই ব্যাপারে অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র জানায়, ‘গত সপ্তাহ পর্যন্ত কলকাতার সঙ্গে আইয়ারের কথা হয়নি। অনেক কিছু চলছে তাঁদের মাঝে, তবে তাঁদের আনুষ্ঠানিক কোন আলোচনা হয়নি আসলে। রবিবারেই তাঁরা প্রথম কথা বলেছিল।’
ক্রিকেটীয় দিক থেকে এই তারকা আসলে যেকোন ফ্রাঞ্চাইজির জন্য ‘গুড পিক’। নির্ভরশীল মিডল অর্ডার ব্যাটার, জাতীয় দলের পরিচিত মুখ, প্রমাণিত অধিনায়ক – সবমিলিয়ে যে কেউ তাঁকে লুফে নিতে চাইবে।
তবে, রাইডার্সদের নতুন কোচিং প্যানেল এভাবে ভাবছে না। তাঁদের পরিকল্পনায় শ্রেয়াস আইয়ারের অবস্থানটা আসলে দ্বিতীয় সারিতে। বরাবরের মতই দুই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার সুনীল নারাইন এবং আন্দ্রে রাসেলকে রিটেইন করতে যাচ্ছে তাঁরা। সেই সাথে দেশীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে রিংকু সিং এবং হার্শিত রানাকে রিটেইন করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
এর বাইরে বরুণ চক্রবর্তী, ভেঙ্কটেশ আইয়ার কিংবা নিতীশ রানাকে রাইট টু ম্যাচের সাহায্যে ধরে রাখতে চাইবে শাহরুখ খানের দল। আবার মিচেল স্টার্কের জন্য হাত বাড়ালেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। রেকর্ড মূল্যে তাঁকে কেনাটা মোটেই খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল না, প্রয়োজনের সময় দারুণভাবে জ্বলে উঠেছিলেন তিনি।
এতকিছুর মাঝে শ্রেয়াস আইয়ারের কলকাতা নাইট রাইডার্সের শিবিরে থাকাটা অনেকটাই অনিশ্চিত। যদি তাঁকে নিলামে পাঠানো হয় তাহলে অন্তত তিনটা ফ্রাঞ্চাইজি তাঁর জন্য দর কষাকষি করবে। এখন দেখার বিষয়, বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা তাঁদের অধিনায়কের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।