রিয়ালের স্কোয়াডে ভাঙাগড়ার যত ডাক

লস ব্ল্যাঙ্কোসদের এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার সুযোগ নেই, আধিপত্য ধরে রাখতে আরো কিছুটা কাঠখড় পোড়াতে হবে টিম ম্যানেজম্যান্টকে।

একের পর এক ম্যাচে পয়েন্ট হারানো, কিলিয়ান এমবাপ্পের বাজে ফর্ম, ভিনিসিয়াস জুনিয়রের ইনজুরি – সবমিলিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ট্রফিবিহীন মৌসুম কাটাবে এমন গুঞ্জন বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছিলো। তবে মৌসুমের মাঝ পথে এসে সবকিছু হারিয়ে গিয়েছে ভোজবাজির মত। লা লিগায় টেবিল টপার অ্যাতলেটিকোর চেয়ে মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে আছে তাঁরা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও আটালান্টাকে হারিয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে রেখেছে।

সবচেয়ে বড় কথা, ভিনি-এমবাপ্পে দু’জনেই সেরা ছন্দে আছেন। সাথে জুড বেলিংহ্যাম ফিরেছেন স্বরূপে। তবে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের এখনই  নিশ্চিন্ত হওয়ার সুযোগ নেই, আধিপত্য ধরে রাখতে আরো কিছুটা কাঠখড় পোড়াতে হবে টিম ম্যানেজম্যান্টকে।

সবার আগে কাজ করতে হবে রক্ষণভাগ নিয়ে, এডার মিলিটাও এবং দানি কারভাহালের ইনজুরির কারণে অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে তাঁদের রক্ষণভাগ। তাই তো জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে অন্তত একজন সেন্টারব্যাক দলে ভেড়ানো বড্ড জরুরি।

সেন্টারব্যাকের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি হলেও কাকে কিনবে রিয়াল, বা আদৌ কিনবে কি না সেটা অবশ্য নিশ্চিত নয়। সেই তুলনায় ফুলব্যাক ইস্যুতে একটু বেশিই গুরুত্ব দিচ্ছে দলটা। লিভারপুলের সঙ্গে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের চুক্তির সবশেষ মৌসুম চলছে, আপাতত তাঁর দিকেই নজর স্প্যানিশ জায়ান্টদের। এক্ষেত্রে জানুয়ারিতেই যদি ট্রান্সফারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চলে আসে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

এছাড়া অলফনসো ডেভিসের সঙ্গে আলোচনা চলছে অল হোয়াইটদের। বায়ার্ন মিউনিখ যদিও চেষ্টা করে যাচ্ছে চুক্তি নবায়নের, তবে তাঁদের চেষ্টা ব্যর্থ হলে আর প্রত্যাশিত মূল্য পেলে ডেভিসকে ছাড়তে আপত্তি করবে না তাঁরা।

রিয়াল মাদ্রিকে নিজেদের স্কোয়াডেও কাটাছেঁড়া করতে হবে অবশ্য। বিশেষ করে এন্ড্রিক গলার কাঁটা হয়ে আছে তাঁদের, তারকা সমৃদ্ধ লাইনআপে তাঁকে গেম টাইম দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আবার বেঞ্চে বসিয়ে রেখে প্রতিভা নষ্ট করারও মানে হয় না। এক্ষেত্রে সেরা সমাধান ধারে কোন ক্লাবে পাঠানো।

এছাড়া নতুন সেন্টারব্যাক আসলে অরেলিয়ান শুয়েমেনি কিংবা ডেভিস আসলে মেন্দিকে ছেঁটে ফেলাই উচিত রিয়াল মাদ্রিদের। কেননা দু’জনেই নিজেদের পজিশনে বিশ্বমানের বটে, কিন্তু এত বছরেও রিয়ালের সঙ্গে ঠিক যেন মানিয়ে নিতে পারেননি। আক্রমণে মেন্দির ইম্প্যাক্ট শূন্য, যা আধুনিক ফুটবলে বড্ড বেমানান; অন্যদিকে শুয়েমেনির পজিশনে কামাভিঙাকে বোধহয় বেশি পছন্দ কার্লো আনচেলত্তির।

Share via
Copy link