তবুও সৌম্য বয়ে নিয়ে এলেন স্বস্তি

এ ফেরা একেবারে তেড়েফুঁড়ে সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে ফেরা নয়। তবুও তিনি ফিরেছেন, সেটাই বরং সবচেয়ে বড় স্বস্তি।

অপেক্ষার প্রহর শেষে সৌম্য সরকার ফিরলেন। এ ফেরা একেবারে তেড়েফুঁড়ে সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে ফেরা নয়। তবুও তিনি ফিরেছেন, সেটাই বরং সবচেয়ে বড় স্বস্তি। ১৩টি বল মোকাবেলা করে আটটি রান নিয়েছেন। খানিক জবুথবু ছিলেন তিনি পপিং ক্রিজে। সাবলীল ব্যাটিংয়ের দেখা মেলেনি তার কাছ থেকে।

গ্লোবার সুপার লিগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন সৌম্য সরকার। ১৮৮ রান করেছিলেন দুইটি দূর্দান্ত ফিফটির কল্যাণে। এরপর জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে সিরিজেও একটি ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচে কার্যকর ৪৩ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই দারুণ ধারাবাহিকতায় ঘটে ব্যঘাত।

আঙুলে চোট পান তিনি। এরপর কেটে গেছে ৪১ দিন। এই পুরোটা সময় রংপুর রাইডার্স অপেক্ষা করেছে সৌম্যর জন্য। গোটা বাংলাদেশও ছিল তার অপেক্ষায়। কেননা দারুণ ফর্মের সৌম্যের ব্যাটিং তো চোখের প্রশান্তি। তাছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তিনি থাকছেন টাইগারদের অন্যতম ওপেনার হিসেবে।

তার মাঠে ফেরাটা ভীষণ জরুরি ছিল। রংপুর রাইডার্সও তাকে মিস করেছেন নিঃসন্দেহে। গ্লোবাল সুপার লিগের শিরোপা জয়ে সৌম্য সামনে থেকে রেখেছিলেন অবদান। বিপিএলে টানা আট জয় পাওয়া দলও তাই অন্যতম সেনানীর অপেক্ষায় ছিল তীর্থের কাকের মত।

সেই সৌম্য ফিরেছেন মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় বাদে মাঠের ক্রিকেটে ফিরে বাউন্ডারিতে খুলেছেন রানের খাতা। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে তিনি বাউন্ডারি হাঁকান। যদিও বেশ নড়বড়ে লাগছিল তাকে। একটা দীর্ঘ বিরতি দুরন্ত ছন্দে প্রভাব ফেলেছে।

সেসবকে পাশ কাটিয়ে মাঠের ক্রিকেটে তিনি ফিরেছেন সেটাই স্বস্তি বাড়াচ্ছে। কেননা তার উপরই বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাল-খারাপ নির্ভর করছে অনেকটাই। লিটন দাসের মত অভিজ্ঞ ব্যাটার নেই দলে। সৌম্যর অভিজ্ঞতায় ভর দিয়ে যতদূর যাওয়া যায়, যেতে চাইবে টাইগাররা। সে জন্যে সৌম্যের মাঠে থাকা প্রয়োজন, ছন্দ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চালানো প্রয়োজন। বৃহৎ স্বার্থে তাই সৌম্যের ফেরাটা ছিল জরুরি।

Share via
Copy link