ছবির মত সুন্দর একটা স্ট্রেট ড্রাইভ করলেন। বল ফিল্ডারের লাগামে এল না। মিড অফ দিয়ে বের হয়ে গেল রকেটের গতিতে। হোল্ড দ্যাট পজিশন সৌম্য সরকার, বললেন ধারাভাষ্যকার।
আসল বলা উচিৎ হোল্ড দিস ফর্ম সৌম্য সরকার। ওই শটটার মতই ছবির মত সুন্দর এক ইনিংস খেললেন সৌম্য। ৭৩ বলে ৭৩ রানের ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ১০০। চারটি ছক্কা আর ছয়টি চার সাজানো ভিনটেজ সেই সৌম্য সুলভ ইনিংস।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এর চেয়ে কুৎসিত সেঞ্চুরি অসংখ্য আছে, কিন্তু এর চেয়ে সুন্দর ৭৩ রানের ইনিংস আর নেই। থাকলেও সেটা কেবলই সৌম্য সরকারের দখলে।
তিনি টাচে ছিলেন না, সেটা বলা যাবে না। টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডে সব ফরম্যাটেই তিনি ছন্দে ছিলেন, বল দারুণ ব্যাটে বলে হচ্ছিল। কেবল একটা বড় ইনিংস থেকে দূরে ছিলেন। সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেই ফর্মে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন, সেই ফেরাটা এবার সম্পন্ন হল উইন্ডিজের বিপক্ষে।
সব ঠিক ঠাক থাকলে যে কোনো বিবেচনাতেই সৌম্যত বাংলাদেশের সেরা ওপেনারদের একজন হওয়া উচিৎ। সেটা তিনি হওয়ার পথেই ছিলেন। কিন্তু হঠাৎই এক ছন্দপতন সব এলোমেলো করে দেয়। ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিজেকে পতনের দুয়ারে নিয়ে যান সৌম্য।
সেই সময় হারানো নিয়ে আক্ষেপ করতে পারেন সৌম্য। চান্দিকা হাতুরুসিংহে এসেই সৌম্যর সেই আক্ষেপ বাতাসে মিলিয়ে দেন। তাঁকে পুনর্বাসিত করেন জাতীয় দলে, স্রেফ প্রতিভার জন্য। এরই সুফল এখন পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। তাই অনেক খারাপের মধ্যে হাতুরুসিংহের এই ভালটাও মনে রাখা দরকার।