চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা রীতিমতো উড়ছে; ছয় ম্যাচ খেলে পূর্ণ বারো পয়েন্ট ঝুলিতে পুরেছে তাঁরা। মনে হতেই পারে সেমিফাইনালে বোধহয় পৌঁছেই গিয়েছে দলটি, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের বিশাল জয় বদলে দিয়েছে সব হিসেব নিকেশ। বারো পয়েন্ট নিয়েও এখন প্রোটিয়ারা বাদ পড়ার শঙ্কায় ক্ষণ গুনছে।
বিস্ময়কর হলেও সত্য ব্যাপারটি, গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের সবটিতে জেতার পর সুপার এইট রাউন্ডেও পর পর দুই ম্যাচ জিতেছে এইডেন মার্করামের দল। তবু উইন্ডিজের বিপক্ষে হেরে গেলে সম্ভবত বাড়ির পথ ধরতে হবে তাঁদের।
গ্রুপ দুই থেকে ইতোমধ্যে ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। বাকি একটা স্পটের দাবিদার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা – দুই দলই মুখোমুখি হবে ‘অলিখিত’ কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে তো কোন সমীকরণ ছাড়াই সেরা চারে চলে যাবে, কিন্তু যদি হেরে যায় সেক্ষেত্রে নেট রান রেটের কারণে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটতে পড়তে হবে তাঁদের।
দুই ম্যাচ শেষে আপাতত প্রোটিয়া ও ক্যারিবিয়ানদের নেট রান রেট যথাক্রমে +০.৬২ এবং +১.৮১। আন্দ্রে রাসেল, রোভম্যান পাওয়েলরা যেকোনো ব্যবধানে জিতলেই তাই নেট রান রেটে দক্ষিণ আফ্রিকা টপকে চলে যাবে সেমিতে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে গ্রুপসেরা হয়েই পরের পর্বে যাবে!
২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্মৃতি নিশ্চয়ই মাথায় আছে সমর্থকদের। সেবার গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচ জেতার পর সুপার এইটেও প্রথম ম্যাচ জিতে সুবিধাজনক অবস্থায় চলে গিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হেরে ঠিকই বাদ পড়তে হয় তাঁদের৷
১৭ বছর আগের তিক্ত অভিজ্ঞতা এবার কি বদলাতে পারবে মিলার, ডি ককরা নাকি চোকার্স উপাধি পাওয়া দলটা আরো একবার চোক করবে?