প্রোটিয়াদের অবিশ্বাস্য বিদায়, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সুযোগ

অপ্রত্যাশিত, অভাবনীয় এক ঘটনার দেখা মিলল অ্যাডিলেড ওভালে। দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে গেল নেদারল্যান্ডসের সামনে। বাদ পড়ল সেমিফাইনালের আগেই। এর অর্থ হল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচে যারা জিতবে তাঁরা সরাসরি চলে যাবে সেমিফাইনালে।

হারলেই টুর্নামেন্টে থেকে বাদ। আর জিতলেই সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিত। এমনই সমীকরণ সামনে রেখে অ্যাডিলেড ওভালে দুই নম্বর গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
অপরদিকে ডাচদের এই ম্যাচে হারানোর কিছু নেই, কিন্তু প্রাপ্তির অনেক কিছু ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটা জয় ডাচদের জন্য হতে পারত সম্মানের। নেদারল্যান্ডসের জন্য সমর্থনের অভাব ছিল না। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান – দু’দলই তাঁকিয়ে ছিল তাঁদের দিকে।

অ্যাডিলেডে রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে টসে জিতে দলে দুই পরিবর্তন নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। শুরুটা দেখে শুনেই করেন ডাচ ওপেনার মাইবার্গ এবং ম্যাক্স ও দাউদ। দুই ওপেনার পাওয়ার প্লে শেষে বিনা উইকেটে ৪৮ রান সংগ্রহ করেন। ইনিংসের নবম ওভারে পার্ট টাইম অফ স্পিনার এইডেন মার্করাম মাইবার্গকে আউট করে ইনিংসে প্রথম আঘাত হানেন।

তিনে নামা টম কুপার ও স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলতে থাকেন আফ্রিকান বোলারদের। মাত্র ১৯ বলে ৩৫ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলে দলকে দিয়ে যান শক্ত ভীত।কিন্তু শেষ দিকে পেসার আনরিখ নরকিয়ার নিয়ন্ত্রিত বোলিং এ ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানে শেষ হয় ডাচদের ইনিংস।  দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ বলে ৪১ রান করেন কলিন একারম্যান। এছাড়া মাইবার্গ ৩৭ এবং টম কুপার ৩৫ রান করেন।

আফ্রিকানদের পক্ষে মাহারাজ ২৭ রানে ২ উইকেট পেলেও, এনরিচ নরকিয়া ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে একটি উইকেট পেয়ে দলের সেরা বোলার ছিলেন। ১৫৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিং  করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার ডি কক এর উইকেট হারায় আফ্রিকানরা। তিনে নামা এই টুর্নামেন্টের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান রাইলি রুশো  এবং অধিনায়ক বাভুমা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও ডাচ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং নিয়মিত বিরতিতে একে একে সাজঘরে ফেরেন সবাই।

জয়ের জন্য শেষ পাঁচ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ৪৮ রান হাতে ছিল ৬ উইকেট। কিন্তু ব্রেন্ডল গ্লোভারের করা ইনিংসের ১৬ তম ওভারে ডেভিড মিলার ৩৭ বছর বয়সী রোলেফ ভ্যান ডার মারুই এর অসাধারণ এক ক্যাচে  এবং ওয়েন পারনেল উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে  সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে আফ্রিকানরা।

শেষ দিকে কেশব মহারাজ,কাগিসো রাবাদারা চেষ্টা করলেও সেটা শুধুমাত্র আফ্রিকানদের জন্য পরাজয়ের ব্যবধানই কমায়। ডাচ বোলার  বাস ডি লিড এবং ভ্যান বিক এর অসাধারণ ডেথ বোলিং এ শেষ পর্যন্ত ১৩ রানের হারে আবারও আরেকটা বিশ্বকাপ থেকে স্বপ্নভঙ্গ হয় আফ্রিকানদের।

এই হারের ফলে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়লো দক্ষিন  আফ্রিকা,সেই সাথে বাংলাদেশ -পাকিস্তান ম্যাচটি এখন ভারচুয়াল কোয়ার্টার ফাইনাল হিসেবে গন্য হবে। অপরদিকে ভারত সরাসরি সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link