ইডেন গার্ডেন্স স্তব্ধ! কে ভেবেছিল কলকাতার ময়দানে মাত্র ৯৩ রানে থেমে যাবে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। হ্যাঁ, সেই অভাবনীয় ঘটনাকেই সত্যি করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মামুলি ১২৪ রানের লক্ষমাত্রাও ছুঁতে পারল না ভারত।
নবম উইকেট হারাল মাত্র ৯৩ রানে, হাসপাতালের বিছানায় কাতরাতে থাকা অধিনায়ক শুভমান গিলকে ছাড়াই অসহায় একটা পরাজয় দেখল ভারত। টেম্বা বামুভা মাত্র ৫৫ রানের একটা ইনিংস খেলেই ব্যাটারদের বদ্ধভূমিতে জয়ের স্বপ্নবীজ রোপন করেছিলেন, যার ফসল তুলল দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা।

অধিনায়ক হিসেবে শেষ ১১ টা টেস্টের মধ্যে ১০টাই জিতলেন টেম্বা বাভুমা। জয় নিশ্চিত করার পর যে মুষ্টিবদ্ধ উদযাপন করলেন, সেটা শুধু তাঁকেই মানায়। দৃশ্যটা বলে দেয় দলের ভেতরের আবেগ, বিশ্বাস আর জয়ের ক্ষুধা কতটা তীব্র ছিল।
তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনেই সব শেষ হয়ে গেল। ভারতের ইনিংস মাত্র ৩৫ ওভার স্থায়ী হল। দক্ষিণ আফ্রিকার এক স্মরণীয় জয়! টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনেই মাত্র ১৫৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর যে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে এভাবে ফিরবে—তা হয়তো কেউ ভাবেনি। কিন্তু, প্রোটিয়াদের প্রত্যাবর্তন ছিল অবিশ্বাস্য, একেবারেই স্রোতের বিপরীতে।

মহারাজ শেষদিকে এক ওভারে ১৬ রান খরচ করেও পরপর দু’দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে পরাজয় মানতে বাধ্য করেন। ইনিংসে চার উইকেট আর ইনিংস জুড়ে আট উইকেট নিয়ে নায়ক মনে যান সাইমন হার্মার। তিনি চাপটা রেখেছিলেন বলেই জয়টা এত সহজ মনে হয়েছে।
ভারত চেষ্টা করেছে, তাদের সাধ্যের সবটুকুই ঢেলে দিয়েছে, কিন্তু শুভমান গিলকে না পাওয়া কলকাতাতে বিরাট ক্ষতির কারণ হল—শেষ পর্যন্ত সেটাই বড় পার্থক্য গড়ে দিল। আর দায় দেওয়া যায়, এমন উইকেটকেও। এভাবে ভারত সফল হতে পারছে না, খুব বেশিদিন আগের কথা নয় – দেশের মাটিতে তাঁরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। বাধ্য হয়েই এবার পরিকল্পনা পাল্টাতে হবে ভারতকে।











