অর্থ বাকি ছিল ২০ কোটি ৫০ লাখ। খেলোয়াড় কিনতে হতো দশজন। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ দশজন খেলোয়াড় কিনেছে ঠিকই, পাশাপাশি তাদের ঝুলিতে এখন বাকি রয়ে গেছে পাঁচ কোটি ৪৫ লাখ রুপি। অর্থাৎ মাত্র ২০ কোটি ৫ লাখ রুপিতে তারা দশজন খেলোয়াড়কে ভিড়িয়েছে নিজেদের ডেরায়।
এখানেই অবাক হলে চলবে না। এই ২০ কোটি পাঁচ লাখ রুপির মধ্যে তারা এক লিয়াম লিভিংস্টোনের জন্য খরচ করেছে ১৩ কোটি রুপি। অর্থাৎ তারা নয়জন খেলোয়াড় কিনেছে স্রেফ ৭ কোটি ৫ লাখ রুপির বিনিময়ে। এমন ধূর্ততা সম্ভবত ২০২৬ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মিনি নিলামে অন্যকোন ফ্রাঞ্চাইজি দেখাতে পারেনি।

তবে এত খেলোয়াড় কিনেও একাদশে খুব বেশি বদল হয়ত আনতে হবে না। এক থেকে চার এই পজিশনগুলো একেবারে নিশ্চিত। ট্রাভিস হেডের সাথে অভিষেক শর্মার ওপেনিং জুটির মত ভয়ংকর কম্বিনেশন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এরপর ঈশান কিষাণের মত ব্যাটার আছেন তিন নম্বরে ঝড় অব্যাহত রাখার জন্য। চারে এনরিখ ক্লাসেনের মত মারকুটে ব্যাটার।
গত আসরেও হায়দ্রাবাদের ম্যাচের মোমেন্টাম নির্ভর করেছে এই ব্যাটারদের উপরই। তাদের সাথে আবার যুক্ত হয়েছেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন প্রকার অবকাশ নেই হায়দ্রাবাদের টিম ম্যানেজমেন্টের সামনে। যত চিন্তা বোলিং ইউনিট নিয়ে। সেই ইউনিটের নেতৃত্ব দেবেন প্যাট কামিন্স। তার সাথে আছেন হার্শাল প্যাটেল।

নিতীশ কুমার রেড্ডি, হার্শ দুবেরা থাকছেন অলরাউন্ডারের ভূমিকায়। সাথে নতুন কেনা শিভাম দুবে হয়ত বোলিংয়ে হতে পারেন সমাধান। আগে থেকেই দলে থাকা জয়দেব উনাদকাটকে এদফা আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে বল হাতে। কেবল তবেই হয়ত ব্যাটারদের গড়ে দেওয়া ভীতের উপর দাঁড়িয়ে জয়ের অন্বেষণ চালাতে পারবে হায়দ্রাবাদের বোলাররা। নতুবা আবারও হয়ত প্রথম রাউন্ডে থমকে যাবে সানরাইজার্সদের যাত্রা।











