মাথিশা পাথিরানা যেখানে শেষ করলেন সেখানেই শুরু করলেন শরিফুল ইসলাম। পাথিরানা যখন বের হচ্ছিলেন তখন কেবল মাঠ আসলেন শরিফুল। ডাও আউটের বাইরে দাঁড়িয়ে দু’জন কথা বললেন, হাত মেলালেন। যেন পাথিরানা শরিফুলকে সতর্ক করে দিলেন, এই লড়াই সহজ হবে না।
নাগিন ডার্বির আগের সেই উত্তাপ নেই। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার বৈরিতা ছাপিয়ে জয়োগান কেবলই এখন বন্ধুত্বের। বাংলাদেশের অবশ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত অবস্থাও নেই। নাজেহাল হয়েছে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে।
এবার টি-টোয়েন্টির পালা। সেখানে শুরুতেই দাসুন শানাকার ডাকে সাড়া দিলেন নাঈম শেখ। দু’জনে কি যেন কথা বললেন। সম্ভবত নাঈমের ব্যাটিং নিয়েই কিছু একটা বললেন শানাকা।
নাঈম এরপর গেলেন দুশমন্থ চামিরার কাছে। কি যেন জানতে চাইলেন। চামিরা পথ বাতলে দিলেন। দুই দলের বডি ল্যাঙ্গুয়েজের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। শ্রীলঙ্কা যেখানে ভিষণ সিরিয়াস, বাংলাদেশের সবাই সেখানে অনুশীলনেও নেই।
খুব মারকাটারি কোনো অনুশীলন নয়, টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগের দিন বাংলাদেশ দলে কেমন যেন একটা গা ছাড়া ভাব, যেন হেরে যাওয়ার আগেই হার মেনে গেছে বাংলাদেশ দল। যেন শ্রীলঙ্কা দলটা এখন দূর আকাশের তারা।
অনুশীলন শুরুর আগেই প্রধান নির্বাচক বিপর্যস্ত হয়ে গেলেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে। একের পর এক প্রশ্নবাণে তিনি জর্জরিত হয়েছেন। কথা বলতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছেন। ২০-২৫ মিনিটের বিরাট এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বারবার বাংলাদেশের পাইপলাইনের ঘাটতি মেনে নিয়েছেন। এই অসংখ্য নাই-নাইয়ের ভিড়ে হারাতে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট!