ছবির মত সুন্দর এক স্টেডিয়াম। রাতের আলোয় অদ্ভুত একটা মায়ায় আবিষ্ট থাকে যেন পুরো আর প্রেমাদাসা। সেখানেই অনেকটা পথ দৌঁড়ে আসলেন তাওহীদ হৃদয়।
অনেকটা শূণ্যে ভেসে এক হাতে ধরলেন ক্যাচ। সাথে হাত তুলে উল্লাস করলেন। একটা মিলিয়ন ডলার ক্যাচ। মূল ম্যাচে এরকম একটা ক্যাচ ধরতে পারলে সেটা ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে থাকবে।
মূল ম্যাচের জন্য শুধু এরকম ক্যাচ নয়, ব্যাটিংয়েও বাড়তি জোর দিলেন তাওহীদ হৃদয়। এই শ্রীলঙ্কার বুকেই তিনি স্টার বয়ের তকমা পেয়ে গেছেন। যদিও, সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে নানা ঘটনা ঘটিয়ে তিনি এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’।
ব্যাড বয়কে ‘ব্যাড বাজ’ দিচ্ছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। লেগ স্পিনে শ্রীলঙ্কার ভরসার প্রতীক। আধুনিক সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে চাইলে সময়ের অন্যতম সেরা লেগ স্পিনারও বলা যায়।
সেই হাসারাঙ্গার ‘হাসি’ কেড়ে নিতে চান হৃদয়। সেজন্য তাঁর সঙ্গী হলেন টিম বয় রমজান। টিম বয় বলে তাঁকে খুব একটা অবজ্ঞা করার উপায় নেই। চাইলে তাঁকে এখন বাংলাদেশের ‘সেরা’ টার্নারও বলা যায়। তিনি আজকাল নেটে নিয়মিতই বাংলাদেশের ব্যাটারদের ভোগাচ্ছেন।
সেই রমজানকে তাওহীদ হৃদয়ের মোকাবেলা করার অর্থ একটাই, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। প্রথমে রমজান এরপর থ্রোয়ারকে সাথে নিয়ে ব্যাটিং করলেন।
শুধু লেগ স্পিন নয়, সব রকম স্পিনেই খুব একটা সাবলীল নন তাওহীদ হৃদয়। বল স্লটে পেলে আবার তাঁর চেয়ে বড় হিটার বাংলাদেশে তেমন একটা নেই। কিন্তু, অ্যাগেইন্সট দ্য স্পিনে খেলতে গেলেই মুশকিল হয়।
স্লগ করতে পারেন, কিন্তু সিঙ্গেল-ডাবল নিয়ে ইনিংস বিল্ড আপ করতে গেলেই বিপদ হয়। হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকসানা কিংবা দুনিথ ওয়েলেলাগেদের বিপক্ষে এবার যাতে বিপদে পড়তে না হয়, সেজন্যই হৃদয়ের এত আয়োজন।
তাওহীদ হৃদয়ের ব্যক্তিগত দু:সময়টাও ভাঙা জরুরী। সাদা বলের গেল কিছু ম্যাচ ভাল যায়নি। ‘ভাল’র শুরুটা শ্রীলঙ্কার ময়দানে হয়ে গেলে সেটা লঙ্কানদের আদরের ‘স্টার বয়’-এর জন্য তো বটেই, বাংলাদেশের জন্য প্রচণ্ড ইতিবাচক একটা ব্যাপার হতে পারে।