জশ হ্যাজেলউড নেই, নেই প্যাট কামিন্সও। মিচেল স্টার্ক যেন বললেন, ‘হোল্ড মাই কাপ’। অ্যাশেজের আসল ঝাঁজ টের পাওয়ালেন অজি পেসার। ইংলিশদের ব্যাটিং অর্ডার একা হাতেই তছনছ করে দিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। শুরুর ওই আগ্রাসন, টিকে ছিল পুরো ইনিংস জুড়েই। অ্যাশেজের আমেজে বিন্দুমাত্র ব্যাঘাত ঘটতে দেননি স্টার্ক।
অ্যাশেজের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচনায়। অভিজ্ঞ পেসারদের অনুপস্থিতি তাদের বোলিং আক্রমণকে খানিকটা দূর্বল করে দিয়েছে বলেই ছিল ধারণা। কিন্তু একাদশে যখন স্টার্ক থাকেন, তখন সেই আক্রমণ দূর্বলতা বলা বড্ড মুশকিল। সেটাই তিনি বুঝিয়ে প্রথম টেস্টের একেবারে প্রথম ওভারে।
সাত খানা উইকেট তিনি বাগিয়েছেন। যার শুরুটা করেছেন তিনি নিজের ছোড়া প্রথম ওভারেই। সেই ওভারের শেষ বলে জ্যাক ক্রলিকে দেখিয়েছেন গতির ত্রাস। ইংলিশ ব্যাটিং অর্ডার সেখান থেকেই ভীষণ তটস্থ হওয়ার প্রয়াশ চালায়। কিন্তু এদিন স্টার্ক ছিলেন শিকারি মেজাজে। তার ওই আগ্রাসী মানসিকতার সামনে সত্যিকার অর্থেই অসহায় ছিল ইংলিশ ব্যাটাররা।

বেন ডাকেট, অলি পোপ- এই দুই ব্যাটারকেও প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান মিচেল স্টার্ক। ইংলিশ টপ অর্ডারে কিছুই বাকি রাখেননি বা-হাতি এই অজি পেসার। জো রুট আর বেন স্টোকসের মত প্রজ্ঞাবান ব্যাটাররাও স্টার্কের বিরুদ্ধে ছিলেন নিরুত্তর। রুটকে তো রানের খাতা খোলার সুযোগই দেননি অজি পেসার। স্টোকসের ইনিংসকে সংক্ষিপ্ত করেছেন স্রেফ ৬ রানে।
একাই প্রতিরোধ গড়তে থাকা জেমি স্মিথকেও পার্থক্যের দীক্ষাটা দিয়েই দিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। দারুণ লাইন-লেন্থ, বলের মুভমেন্টে তিনি বাইশ গজকে বানিয়ে ফেলেছিলেন এক অগ্নিকূন্ড। ইংলিশ ব্যাটারদের রান করা তো দূরে থাক, টিকতেও হিমশিম খেয়েছে। তাতে করে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার নতুন করে লেখা হয়েছে স্টার্কের নামের পাশে।
প্রায় ১৩ ওভারের বোলিং স্পেলে তিনি রান দিয়েছেন ৫৮টি। উইকেট নিয়েছেন সাতটি। হ্যাজেলউড, কামিন্সদের অভাবটা বুঝতেই দেননি মিচেল স্টার্ক। তার বোলিং তোপে স্রেফ ১৭২ রানেই থেমেছে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। অ্যাশেজের সেই ভয়ংকর সুন্দর রুপের এক নান্দনিক চিত্র অঙ্কন করে গেলেন অস্ট্রেলিয়ান প্রিমিয়াম পেসার।












