২০২৪ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) উপলক্ষ্যে রেকর্ড ২৪.৭৫ কোটি রুপিতে মিচেল স্টার্ককে দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে বিশাল মূল্যের প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি; চারপাশে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল তখন। তবে চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটাররা জানেন কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তাঁরও জানা আছে সেটা। তাই তো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ারের ম্যাচে ঠিকই জ্বলে উঠতে দেখা গেলো তাঁকে।
চলতি আইপিএলের গ্রুপ পর্বে ১২ ম্যাচ খেলেছিলেন এই পেসার। এসময় বারো উইকেট পেলেও ওভারপ্রতি তিনি খরচ করেছেন ১১.৩৭ রান, আর বোলিং গড় ৩৩! নিশ্চিতভাবেই এমন পরিসংখ্যান তাঁর সঙ্গে মানানসই নয়, তবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসে নামের প্রতি সুবিচার করেছেন তিনি।
এদিন হায়দ্রাবাদের ব্যাটিং অর্ডার প্রায় একাই ধসিয়ে দিয়েছেন এই বোলার। শুরুর স্পেলে তিন ওভার হাত ঘুরিয়ে তিন তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছেন, বিনিময়ে খরচ করেছেন কেবল ২২ রান। তাঁর এমন বোলিংয়ের কারণেই অন্যান্য ম্যাচের মত বিধ্বংসী রূপে আবির্ভূত হতে পারেনি হায়দ্রাবাদের ব্যাটাররা।
টসে জিতে কলকাতাকে ফিল্ডিংয়ে পাঠিয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। সেই সিদ্ধান্ত বোধহয় পছন্দ হয়নি স্টার্কের, তাই তো দ্বিতীয় বলেই ইনফর্ম ট্রাভিস হেডের উইকেট তুলে নিয়ে পরোক্ষ প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। বোলারদের আতঙ্ক বনে যাওয়া হেড যেভাবে বোল্ড হয়েছেন তাঁর বলে, সেটা নিঃসন্দেহে পুরনো স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে দর্শকদের মনে।
তবে এই অজি ক্রিকেটারের সবচেয়ে ভয়ানক রূপ দেখা গিয়েছিল একটু পর। ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারের শেষ দুই বলে দুই উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। নিতীশ রেড্ডিকে প্রথমে বাধ্য করেছিলেন উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিতে, এরপর শাহবাজ আহমেদের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিয়েছেন দুর্দান্ত গতিতে – সবমিলিয়ে যেন ভিন্টেজ স্টার্ক!
একটা সময় যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকাই ছিল দু:সাহসের কাজ তাঁর বিরুদ্ধে এখন সহজেই রান করছেন ব্যাটাররা। তবু এই তারকার উপর ভরসা রেখেছে কলকাতা; আর সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সময়েই প্রতিদান পেয়েছে তাঁরা। অবশ্য বিশ্বকাপের আগে তিনি ফর্মে ফিরবেন সেটা বোধহয় প্রত্যাশিত।