গুঞ্জন ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ধারে নিজেদের দলে নিবে রহিম স্টার্লিংকে; সেটা হলে ইতিহাস হত অবশ্য। প্রথম ফুটবলার হিসেবে ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি আর লিভারপুলের হয়ে খেলার রেকর্ড গড়তেন তিনি। তবে সেটা শেষমেশ হয়নি, চমক দেখিয়ে আর্সেনাল চুক্তি করেছে তাঁর সঙ্গে।
অর্থাৎ, এক মৌসুমের জন্য দলটির হয়ে দেখা যাবে তাঁকে। লিভারপুলের হয়ে উত্থান ঘটেছিল এই ফুটবলারের, যুব দলের হয়ে ২০১১ সালে এফএ কাপের এক ম্যাচে একাই পাঁচ গোল করে বসেছিলেন তিনি। এরপর মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রিমিয়ার লিগে গোল করে নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছেন।
তাঁর প্রতিভা নিয়ে সন্দেহ ছিল না কখনোই, প্রতিভার প্রতিচ্ছবি মাঠেও ভালভাবে ফুটে উঠেছিল। কিন্তু, সেই প্রতিভার কলি পুরোপুরি ফুল হয়ে ফোটার আগেই অ্যানফিল্ড ছেড়ে ইতিহাদে যোগ দেন এই উইঙ্গার। সেই ট্রান্সফারের রহস্য এখনও অজানা বটে, তবে ইতিহাসে দু’হাত ভর্তি সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
পেপ গার্দিওলার অধীনে যে ভয়ানক ম্যানসিটির সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে তাঁর প্রথমদিককার সেনানী ছিলেন স্টার্লিং – সবমিলিয়ে লিভারপুলের উদীয়মান তারকা সিটির হয়ে পেয়েছিলেন পূর্ণতা। উত্থানের পরেই তো আসে পতন, তাঁর ক্যারিয়ারেও ভাটা নেমেছিল ২০২১ সালে।
কেভিন ডি ব্রুইনা, বার্নান্দোর সিলভার দুর্দান্ত ফর্মের কারণে অবহেলিত হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এক সময় হতাশ হয়ে সিদ্ধান্ত নেন ক্লাব ছাড়ার, যোগ দেন চেলসিতে। কিন্তু যা আশা করেছেন তা হয়নি, উল্টো নিয়মিত খেলতে না পারায় হতাশা কেবল বেড়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার আর্সেনালের ডেরায় আশ্রয় চেয়ে নিলেন এই ইংলিশম্যান। ট্রান্সফার উইন্ডোর শেষদিনে গানার হিসেবে ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন তিনি। স্টার্লিংয়ের যখন সিটিতে নিজের ক্রমাগত উন্নতির পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন দলটির সহকারী কোচ ছিলেন মিকেল আর্তেতা।
এর অর্থ হল, দু’জনের বোঝাপড়া আছে আগে থেকেই, তাই আর্সেনালে বুঝেশুনেই এই ডিল করেছে সেটা নিশ্চিত। এখন দেখার বিষয়, আর্তেতার সুবাদে স্টার্লিংয়ের ক্যারিয়ারে নতুন করে জোয়ার আসে কি না।