ম্যাকগাইভারের মাল্টি-টুল নাইফ

আইপিএলে চাহিদামাফিক খেলতে হলে মনের সাথে মগজের ম্যাপিংটাও হতে হবে মোক্ষম। স্টাবসের খেলাটা মাথা দিয়েও চলে। দিল্লী ক্যাপিটালস ভুল জায়গায় এতগুলো টাকা ঢালেনি।

কখন স্থীরতা আনতে হবে, কখন গতি বাড়াতে হবে, সেটা ভাল করেই জানেন ট্রিস্টান স্টাবস। বিশেষ করে দিল্লীর এমন পিচে, যেখানে বল একটু থেমে থেমে আসে – সেখানে ক্যাপিটালসের পক্ষে স্টাবসের চেয়ে ‘বেটার’ কাউকে যোগার করা বেশ কঠিন।

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাঁধলেন নিজের ব্যাটকে। ১৮ বলে ৩৪ রান করেছেন স্টাবস। শুনতে বা বলতে খুব আহামরি না, কিন্তু যখন বাকিরা ব্যাটে বল লাগাতে হিমশিম খাচ্ছে — তখন এই রানই নি:শ্বাস ফেলতে দেয় ড্রেসিং রুমে। দু’টি করে ছক্কা আর চারে রান তুলেছেন প্রায় ১৯০ স্ট্রাইক রেটে।

স্টাবস এমন ব্যাটার, যাকে চাইলে তিন নম্বরেও নামানো যায়, চাইলে নামানো যায় সাতেও। যেখানেই নামেন আগুন বনে যেতে পারেন তিন। ব্যাটিং অর্ডারে তিনি যেন ম্যাকগ্যাইভারের সেই মাল্টি-টুল নাইফ।

ফিনিশার হিসেবে গেল আইপিএলে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ২৯৭-এর ওপরে। এমন নয় যে হঠাৎ করে দুই তিনটা শট খেলেছে। ১০০’র বেশি রান করেছেন ওই ডেথ ওভারে, নিয়মিত খেলেছেন, দলের চাহিদা মিটিয়ছেন। সেজন্যই ১০ কোটি রুপি দিয়ে এই দক্ষিণ আফ্রিকানকে রিটেইন করেছে দিল্লী।

আইপিএলে চাহিদামাফিক খেলতে হলে মনের সাথে মগজের ম্যাপিংটাও হতে হবে মোক্ষম। স্টাবসের খেলাটা মাথা দিয়েও চলে। দিল্লী ক্যাপিটালস ভুল জায়গায় এতগুলো টাকা ঢালেনি।

Share via
Copy link