আউট অব দ্য বক্স কিছু করতে পারা, জুয়া খেলতে পারা ক্রিকেট মাঠে একজন অধিনায়কের সবচেয়ে বড় গুণ! সুরিয়াকুমার যাদব সেটাই করেছিলেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে শেষ ওভারে যখন ছয় রান প্রয়োজন ছিল স্বাগতিকদের তখন নিজেই চলে এসেছেন বল হাতে। এরপর যা হয়েছে সেটা তো সবারই জানা।
পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি, ম্যাচ গড়িয়েছিল সুপার ওভারে। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পেরেছে টিম ইন্ডিয়া; তাই তো ওয়াশিংটন সুন্দর ম্যাচসেরা হলেও জেতার পিছনে বড় অবদান আছে সুরিয়ার বোলিংয়ের।
যে বোলিংয়ের কারণে নায়ক বনে গিয়েছেন এই তারকা, একটা সময় অবশ্য সেই বোলিং তাঁকে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। বিস্ময়কর হলেও সত্যি, ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের কারণে তাঁকে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এর অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে যেতে হয়েছিল।
আজ থেকে প্রায় এক দশক আগের কথা, এই ডানহাতি তখন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতেন। ২০১৪ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা; আর সেই ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনি, সুরেশ রায়নার মত কিংবদন্তিদের বিপক্ষে বোলিংয়ে এসেছিলেন স্কাই। সবমিলিয়ে তিন ওভার বল করে ২১ রান দিয়েছিলেন তিনি, আহামরি না হলেও খারাপ বলার সুযোগ ছিল না।
কিন্তু বিপত্তি বাঁধে এরপরই; দুই অন ফিল্ড আম্পায়ার রড টকার ও কুমার ধর্মসেনা এবং টিভি আম্পায়ার এস রবি এই ডানহাতির বোলিং অ্যাকশনকে ‘সন্দেহজনক’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এর ফলে বোলিং নিয়ে তাঁকে অফিসিয়াল সতর্কবার্তাও দেয়া হয়।
হয়তো সেজন্যই ক্যারিয়ারের পরের অংশে ব্যাটিংয়েই বেশি মনযোগী হয়েছেন তিনি। অনেক অপেক্ষার পর ২০২১ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক হয় এই তারকার, এখন তো জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বল হাতেও টুকটাক দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।