পুরো ক্রিকেট বিশ্বে এমন ঘটনা ঘটেছে স্রেফ দু’বার। টানা ১৩ ইনিংস ধরে ২৫ বা তার বেশি রান করলেন সুরিয়াকুমার যাদব। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এমন বিরল রেকর্ড এর আগে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার টেম্বা বাভুমার। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন সুরিয়া।
এক প্রকার নকআউট ম্যাচ। যে জিতবে, সে দলই চলে যাবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্লে-অফে। এমন সমীকরণের ম্যাচে মুম্বাই দারুণ ধুকেছে শুরু থেকে। মুস্তাফিজুর রহমান তুলে নিয়েছিলেন রোহিত শর্মার উইকেট। এরপরই যেন খানিকটা খোলসবন্দী হয়ে যায় মুম্বাইয়ের বাকি ব্যাটাররা।
নিয়মিত উইকেট যেতে শুরু করে মুম্বাইয়ের। তবে সুরিয়াকুমার সেই ধ্বসের বিপরীতে দাঁড়িয়ে গেলেন। অনবদ্য এক হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন। তিনি যখন বাইশ গজে আসেন তখন মুম্বাইয়ের সংগ্রহ ৪৮ রান দুই উইকেটে। তার আগমনের দশরান পরেই রায়ান রিকেলটন ফিরে যান প্যাভিলিয়নে।
সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সুরিয়া একটা ছোট্ট জুটি গড়েন তিলক ভার্মার সাথে। সেই জুটিতে অবশ্য তিনিই ছিলেন চালকের আসনে। এরপর তিলক আউট হন, দ্রুতই প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তখনও একটা প্রান্ত বাহুডোরে আগলে রাখেন সুরিয়াকুমার যাদব।
একটা পর্যায়ে ১৫০-৬০ এর কাছাকাছি থেমে যাওয়া উপক্রম হয় মুম্বাইয়ের সংগ্রহ। কিন্তু তেমনটি হতে দেননি সুরিয়াকুমার যাদব। শেষ অবধি টিকে থেকেছেন বাইশ গজে। প্রায় ১৭০ স্ট্রাইকরেটের একটা দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাতে করে ১৮০ রানের পুঁজি পেয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
চারটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। সেই সাথে সাতখানা চারও আদায় করে নিয়েছেন। দলের প্রায় ৪০ শতাংশ রানই এসেছে তার ব্যাট থেকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে এমন কার্যকর ইনিংস খেলতে পারেন বলেই খ্যাতি কুড়িয়েছেন তিনি সর্বত্র। আর নানানধর্মী শট, সেগুলোতে তো তিনি বহুকাল ধরেই সিদ্ধহস্ত।