বিধ্বংসী, ঝড়ো চাইলেই জুড়ে দিতে পারেন হাজারখানেক বিশেষণ আরো। কিন্তু বৈভব সুরিয়াভানশিকে শব্দের বাহুডোরে আটকে রাখা ভীষণ দুষ্কর। তিনি সহস্র যুগ ধরে জমে থাকা এক প্রলয়। বিজয় হাজারে ট্রফিতে আবারও তার ব্যাটিং তাণ্ডব ছড়িয়েছে বিস্ময়, এই বালক কি আদোতে এই গ্রহের কেউ!
২২৬.১৯ স্টাইকরেটের একটা ইনিংস খেলেছেন তিনি বিজয় হাজারে ট্রফিতে। খেলতে নেমেছিলেন বিহারের জার্সি গায়ে। অরুণাচলের বোলারদের প্রতি তার ছিল না বিন্দুমাত্র করুণা। ব্যাটের ঝঙ্কারে তিনি স্রেফ ৩৬ বলে হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। কিন্তু ধ্বংসের নেশায় একবার পেয়ে বসলে সহজে কি আর থামতে মন চায়!
সুরিয়াভানশি থামেননি। এগিয়ে যাচ্ছিলেন দ্বিশতকের পানে, দ্রুতগতিতে প্রবল আঘাতের সুর তুলে। সব ধরণের টি-টোয়েন্টিতে তার তিনটি সেঞ্চুরি পাওয়া হয়ে গেলেও, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটিই ছিল তার প্রথম সেঞ্চুরি, তাও আবার ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। সেই সেঞ্চুরিটাকে দ্বিশতকের মর্যাদায় রুপান্তরিত করতে উদ্ধত হন বৈভব সুরিয়াভানশি।

ক’দিন আগেই অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ১৭৬ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন। বড় রান করাকে তিনি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন ইতোমধ্যেই। কিন্তু সেই ইনিংসেও দ্বিশতক তার ছোঁয়া হয়নি, এদিনও বিজয় হাজারে ট্রফিতে তিনি ডাবল সেঞ্চুরির মাইলফলক টপকাতে পারেননি।
থামতে হয়েছে তাকে ১৯০ রানে। স্রেফ ৮৪ বলের এই ইনিংসটিতে তিনি ব্যাটিং করেছেন ভিডিও গেমস স্টাইলে। বেধম প্রহারের বর্ষণ ঘটান তিনি ময়দানে। মোট ৩১টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি এক ইনিংসে। যার মধ্যে ছিল ১৬টি চার ও ১৫টি সুবিশাল ছক্কা। অর্থাৎ স্রেফ বাউন্ডারি থেকেই তার রান এসেছে ১৫৪টি।
বাউন্ডারি হাঁকানোর এই স্বভাবজাত গুণই সুরিয়াভানশিকে বানিয়েছে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি। তার বিরুদ্ধে বোলিং করা মানেই যেন নিজের ক্যারিয়ারে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া। এই ঝড়ের তাণ্ডব শেষ হবে কোথায়, সেটা সকলেরই অজানা।












