বোলিং লাইনআপটা মূল অস্ত্র, ব্যাটিংটাও বেশ চালিয়ে নেওয়ার মতো, সঙ্গে অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মিশেল, সবমিলিয়ে সিলেট টাইটান্স যেন পরিপূর্ণ এক দল। সিলেটবাসি তাই শিরোপার স্বপ্নটা দেখতেই পারে। তবে সেই সম্ভাবনাটা কতটুকু আছে?
মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, মইন আলী, সায়িম আইয়ুব বাংলাদেশের স্পিন ট্রাকে চারজন যে সিলেটের ব্রহ্মাস্ত্র। এর মধ্যে তিনজই আবার অবদান রাখতে পারবেন ব্যাট হাতে। সায়িমের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ম্যাচের শুরুতেই নির্ভার রাখবে সিলেটকে। তিনি জ্বলে উঠলে যে একা হাতেই ঘুরিয়ে দিতে পারেন ম্যাচ। মইন আলির অভিজ্ঞতা সবারই জানা। কাপ্তান মিরাজও দলকে নেতৃত্ব দিতে চাইবেন সামনে থেকেই।
পেস বোলিংটাও বেশ ক্ষুরধার। মোহাম্মদ আমিরের মতো অভিজ্ঞ তারকা নেতৃত্ব দেবেন তার। এছাড়াও সালমান ইরশাদ, এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, শহিদুল ইসলাম, ইথান ব্রুকস, রুয়েল মিয়াদের শক্তিশালী পেস আক্রমণ সাজিয়েছে সিলেট, যা যে কোনো প্রতিপক্ষের ঘুম হারাম করে দিতে পারে। তবে সিলেটের ট্রাম্পকার্ড হবেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ব্যাটে-বলে নিজের দিনে কি করতে পারেন তা সবাই বেশ ভালোোমতোই জানে।

ব্যাটিংটা নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল শুরুর দিকে। তবে তা কেটে গেছে মইন আলি, ওমরজাইদের নাম লেখানোর পর থেকে। দেশি-বিদেশিদের নিয়ে এখন বেশ ভারসাম্য পেয়েছে সিলেট টাইটান্স। পারভেজ হোসেন ইমন, সায়িম আইয়ুব, আফিফ, রনি, আরিফুল, জাকির, আঞ্জেলো ম্যাথিউজ, অ্যারন জোনসদের মতো কার্যকরী সব নাম রয়েছে স্কোয়াডে।
সব মিলিয়ে সিলেট টাইটান্সের স্কোয়াড দাঁড়াচ্ছেঃ মেহেদি হাসান মিরাজ, পারভেজ হোসেন ইমন, নাসুম আহমেদ, খালেদ আহমেদ, আফিফ হোসেন, এবাদত হোসেন, রনি তালুকদার, জাকির হাসান, রুয়েল মিয়া, আরিফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, রাহাতুল ফেরদৌস জাভেদ, তৌফিক খান তুষার, মমিনুল হক, এঞ্জেলো ম্যাথিউজ, অ্যারন জোনস, মোহাম্মদ আমির, সালমান ইরশাদ, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, সায়িম আইয়ুব, ইথান ব্রুকস, মইন আলী।
সিলেটের মূল শক্তি তাদের বোলিং লাইনআপ, ব্যাটিংও খুব একটা মন্দ নয়। সবমিলিয়ে বেশ ভালো মানের স্কোয়াড গড়েছে সিলেট। পরিকল্পনা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারলে স্বপ্নটা বাস্তব হলেও হতে পারে।












