তাইজুল এসেছেন একমুঠো স্বস্তি নিয়ে

কিন্তু সেসব ছাপিয়ে দিনশেষে এখনও টাইগারদের ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছেন তাইজুল।

মিরপুরে একমুঠে স্বস্তি নিয়ে এসেছেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের একমাত্র পারফর্মার তিনি। মসলিন কাপড়ের ন্যায় কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে, বাংলাদেশের ব্যাটাররা ছড়িয়েছে বিষণ্ণতা। কিন্তু সেসব ছাপিয়ে দিনশেষে এখনও টাইগারদের ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছেন তাইজুল।

টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তাইজুল। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে পাঁচটি উইকেট শিকার করেছেন তিনি মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে। ক্যারিয়ারে ১৩তম ফাইফারের দেখা পেয়েছেন বর্ষীয়ান এই ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকাকে চালকের আসন থেকে সরিয়েছেন তিনি একা হাতে।

বল হাতে মূল দায়িত্ব পালন করলেও, ব্যাট হাতে কার্যকর ইনিংস খেলেছেন। বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১০৬ রানে। এই স্বল্প রানের সংগ্রহে তাইজুলের অবদান ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ রান। এছাড়াও নাইম হাসানকে সাথে নিয়ে ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন তিনি।

নবম উইকেট জুটিতে দুইজনে মিলে ২৬ রান সংগ্রহ করেন। সেই জুটির কল্যাণেই ১০০ এর গণ্ডি ছাড়ায় বাংলাদেশ। এরপর নিজের আসল দায়িত্ব পালন করেন তাইজুল। বল হাতে রীতিমত প্রোটিয়াদের নাকানি-চুবানি খাইয়েছেন। একটু স্পিন বান্ধব উইকেটে তাইজুলের ভয়ানক রূপটাই দেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা।

উইকেটে ছিল অসম বাউন্স। সেই সাথে বেশ টার্নও পাচ্ছিলেন তাইজুল। তাইতো প্রায় প্রতিটা মুহূর্তে ব্যাটারদের ভরকে দিয়েছেন তিনি। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হতে পারে ম্যাথু ব্রিটজকের উইকেট। অভিষিক্ত তরুণ ব্যাটার ভেবেছিলেন বল টার্ন করে বেড়িয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। বল সোজা গিয়ে আঘাত করে স্ট্যাম্পে।

সেটিই ছিল তার ক্যারিয়ারের ২০০ তম উইকেট। দিনশেষে ১৪০ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যার সিংহভাগ কৃতিত্ব তাইজুলের। যদিও তার কাজ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। দ্বিতীয় দিন প্রোটিয়াদের দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তার কাঁধেই তুলে নিতে হবে। একমুঠো স্বস্তিতে সন্তুষ্টি খোঁজার উপায় যে নেই।

Share via
Copy link