ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলা হবে না তামিম ইকবালের। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর মাত্র দিন দুয়েক আগে আসল এই দু:সংবাদ। এর অর্থ হল, নতুন একজন অধিনায়ক নিয়ে মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশ দলকে। সেই অধিনায়ক কে? – প্রশ্নের কোনো জবাব নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বা টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে।
গেল বুধবার মিরপুরে নিজেরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ম্যাচ প্র্যাকটিস করে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সেই ম্যাচ খেলার সময় কুঁচকিতে চোট পান ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পরবর্তী অবস্থা জানতে বৃহস্পতিবার তার হাঁটুতে স্ক্যান করানো হয়।
তার চোট সারতে অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। অর্থাৎ, ওয়ানডে সিরিজ তো বটেই, প্রথম টেস্টেও অনিশ্চিত থাকছেন দেশের সেরা এই ওপেনার। এর অর্থ হল, ওয়ানডেতে লিটন দাসের সাথে ওপেন করবেন এনামুল হক বিজয়।
টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে ফেললেও গেল বিশ্বকাপে আলোচনায় ছিলেন তামিম। কারণ, তিনি দেশেই তখন ভারত সিরিজের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন। তবে, সেই পরিশ্রমটা আপাতত মাঠেই মারা যাচ্ছে তাঁর। কারণ, ইনজুরি নিয়ে সিরিজের সিংহভাগ সময়ই তাঁকে মাঠের বাইরে কাটাতে হবে।
ওয়ানডেতে পূর্ণশক্তির ভারতেরই মোকাবেলা করতে হবে স্বাগতিক বাংলাদেশকে। হার্দিক পান্ডিয়া, জাসপ্রিত বুমরাহ ও রবীন্দ্র জাদেজা বাদে শীর্ষ পর্যায়ের সব ভারতীয় তারকাই খেলবেন এই সিরিজে। আসছে ডিসেম্বরের ৪, ৭ ও ১০ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে তিনটি ওয়ানডে। তামিমকে যে এই সিরিজে বাংলাদেশ যথেষ্ট মিস করবে তা চোখ বুজেই বলা যায়।
প্রথম দু’টি মিরপুুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, ও শেষটি হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। এরপর ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। প্রথম ম্যাচ হবে চট্টগ্রামে। এরপর ২২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ঢাকায়।
এখন প্রশ্ন হল ওয়ানডে সিরিজে কে হবে বাংলাদেশের অধিনায়ক? বিকল্প নাম আছে দু’জনের। তাঁরা হলেন। ওপেনার লিটন দাস ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের। এই দৌড়ে লিটনই এগিয়ে আছেন। তিন সিনিয়র, মানে মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও আলোচনায় ছিলেন। তবে, তাঁরা এই দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন।