প্রথম ম্যাচে সেই অর্থে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তানজিদ হাসান তামিম। আগ্রাসী শুরু করেও থেমে গিয়েছিলেন দ্রুতই। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিকই দলকে দারুণ সূচনা এনে দেওয়ার পাশাপাশি নিজের ইনিংসটিও বড় করলেন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজটা একপ্রকার প্রস্তুতিমূলক সিরিজ। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্যে কোর গ্রুপ তৈরি করার পরিকল্পনা করতে চায় বাংলাদেশ দল। সেই গ্রুপের নির্ভরযোগ্য সদস্য হওয়ার গুণাবলি রয়েছে তানজিদ হাসান তামিমের মধ্যে।
আগ্রাসী ব্যাটিং, বাউন্ডারি হাঁকানোর দক্ষতা এসব কিছুই প্রয়োজন টি-টোয়েন্টিতে একটা উড়ন্ত শুরুর জন্যে। তানজিদ সে কাজটা করতে পারেন। কিন্তু নিয়মিত তার এই কাজটা করা প্রয়োজন। আগ্রাসনের ঘাটতি নেই, বাউন্ডারি হাঁকানোতে কৃপণতা নেই তানজিদ হাসান তামিমের।
তেমন এক উদাহরণ তিনি সৃষ্টি করলেন। মাত্র ৩৩ বলের একটি ইনিংস। ব্যাট করলেন প্রায় দুইশো স্ট্রাইকরেটে। ৫৯ রান যুক্ত করেছেন নিজের নামের পাশে। তার ব্যাট থেকে আটটি চার সহ তিনটি ছক্কা এসেছে। একজন ওপেনারের কাছ থেকে তো এমন ইনিংসই প্রত্যাশা করা হয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
তবে তানজিদের বাউন্ডারি নির্ভরতা একটা দুশ্চিন্তার বিষয়ও বটে। ১১ বলে ৫০ রান করা তানজিদ, বাকি ২২ বলে নিতে পেরেছেন স্রেফ নয় রান। এই দূর্বলতা তার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। এই সময়ে অন্তুত আরও পাঁচ কি ছয়টা সিঙ্গেলস বের করতে পারলেই হয়ত ইনিংসটাকে আরও খানিকটা প্রশংসার চাদরে মুড়ে দেওয়া যেত।
তবুও এই বাউন্ডারি নির্ভরতাও যদি ধারাবাহিক হয়, তবে ডট বল খেলার প্রবণতাকেও উপেক্ষা করা যায়। তামিমের কাছ থেকে অন্তত সেটুকু প্রত্যাশাই করতে পারে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রত্যাশার ফুলে বিকশিত হওয়া ভীষণ প্রয়োজন। তানজিদের সম্ভাবনার প্রদীপটা উজ্জ্বল আলো বিকিরণে আলোকিত করবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট- সে প্রত্যাশা মোটেও বাড়াবাড়ি নয় নিশ্চয়ই।