ক্যারিয়ারের শুরুতেই এক স্মৃতিময় অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছিলেন তরুণ বাংলাদেশি পেস বোলার তানজিম হাসান সাকিব। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের ময়দানে অভিষেকেই ঝড় তোলেন। ২০২৩ এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে সুপার ফোর ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেক ঘটে ২১ বছর বয়সী এই পেসারের।
যেখানে ক্যারিয়ারে প্রথম ওভারেই পেয়ে যান উইকেট। তাও আবার ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার। সেদিন অনেকেই তার বোলিংয়ের ওপর দেখিয়েছিল অনাস্থা। বিশেষ করে স্ট্রাইকে যখন রোহিতের মতো হিটম্যান। ২১ বছর বয়সীর হাত কাঁপাটাই স্বাভাবিক।
এমন এক পরিস্থিতিতেই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বল তুলে দেয় সাকিবের হাতে। নিজের দক্ষতা বলে উইকেটও পেয়ে যায় সে। রোহিতকে ফেরায় সাজঘরে। সাকিব বলেন যে সবাই বললেও তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। যে তিনি যদি নিজের পূর্ণ দক্ষতা কাজে লাগান এবং সঠিক স্থানে বল করেন ব্যাটারেরা বিপদে পড়বেই। সাথে যদি একটু সুইং পান, তাহলে তো কেল্লা ফতে।
স্মৃতিচারণা করে তানজিম সাকিব বলেন, ‘রোহিত শর্মা আমার প্রতিপক্ষ ছিল। সত্যি কথা বলতে, আমি প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবিনি। আমি নতুন ছিলাম। বলা হচ্ছিল, রোহিতের বিপক্ষে আমি তৈরি নৈই। কিন্তু, আমি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম। আমি জানতাম বল জায়গা মত ফেলতে পারলে নতুন বল থেকে আমি সুইং আদায় করতে পারব, সেটা ব্যাটারদের বিপদে ফেলবে।’
ম্যাচটিতে শুভমান গিলের একটা শতরানের ইনিংস থাকলেও ছয় রানে ভারতের পরাজয় হয়। যেখানে তানজিম সাড়ে সাত ওভার বল করে ৩২ রানে শিকার করেন দুইটি উইকেট।
আরেক উইকেট ছিল তাঁরই অনূর্ধ্ব উনিশ বিশ্বকাপের ব্যাচমেট তিলক ভার্মা। সেই ম্যাচটি ক্যারিয়ারে সামনেও তাকে করে তোলে উদ্যমী। যার জোরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জ্বলে ওঠেন তিনি। নির্ভরযোগ্য শরিফুলের অনুপস্থিতিতে হয়ে ওঠেন দলের সেরা বোলার। যেখানে ১৩.৫৪ গড়ে নেন ১১ উইকেট। সব কিছুর সূচনা হয় ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচ দিয়েই।