নেটের একপাশে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ তিনি দেখলেন তাসকিন আহমেদকে। একটু পর তাসকিন রান আপ লাইনে ফিরতেই তার সাথে লম্বা সময় নিয়ে কথা বললেন। বললেন, শুরুতেই বেশি পেস না দিতে। আস্তে আস্তে পেস বাড়াতে। ভেরিয়েশনের কাজ হবে এর পরে।
পুনর্বাসন শেষেই তাসকিনের মাথায় হাত রাখলেন শন টেইট। টেইট জানেন, ইনজুরির বলি হয়ে ক্যারিয়ার বিসর্জন দেওয়া কাকে বলে। অমিত প্রতিভা নিয়ে এসেও ইনজুরির জন্য বড় হয়নি শন টেইটের ক্যারিয়ার।
সেই টেইটের পাঠশালায় এবার হাজির তাসকিন আহমেদ। চার মাস পর তিনি ফিরেছেন দলে। আগের চেয়ে যেন সুঠামদেহী হয়েছেন, পেশিবহুল হয়েছেন। তবে, বোলিংয়ের সেই আগের ছন্দ আসেনি। সিংহলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শর্ট রান আপে বোলিং করেছেন, পুরনো পেসের ঝড়ও ছিল না।
তবে তাসকিন আহমেদ ফিরেছেন – বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় স্বস্তির খবর। আর ফিরেই তিনি পাশে পেয়েছেন খোদ শন টেইটকে। চলতি শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক এই অজি পেস দানব।
তাসকিনের জন্য ফেরার লড়াই সহজ হবে না। দুই জুলাই থেকে শুরু তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সব গুলো ম্যাচে তাঁর খেলার কথা নয়। পুরো ছন্দে তিনি এখনও ফেরেননি। ফিটনেসের ঘাটতি এখনও আছে। বোলিং শেষে ফিল্ডিং অনুশীলনেও ছেলেমানুষি কিছু ভুল করেছেন।
অনুশীলনে ভুল হতেই পারে, ভুলের জন্যই তো অনুশীলন। কিন্তু, তাসকিনের শরীরি ভাষায় এটা স্পষ্ট যে তিনি টাচে নেই। তাঁর মাইডাস টাচ যত দ্রুত ফিরবে ততই মঙ্গল বাংলাদেশ দলের। এর আগ পর্যন্ত গুরু টেইটের পাঠশালাতেই কাটুক সময়।