২০২২ সালের বিশ্বকাপে ভারতীয় টপ অর্ডারকে রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। দুই বছর পর সেই স্মৃতি আবারো ফিরিয়ে আনবেন তিনি এমন প্রত্যাশায় ছিল বাংলাদেশ, অথচ ম্যাচের আগে দেখা গেলো তাঁকে একাদশেই রাখা হয়নি। সেই রহস্যময় সিদ্ধান্তের কারণ এবার জানা গেলো – ঘুমের কারণেই নাকি ভারতের বিপক্ষে খেলা হয়নি তাঁর।
গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছিল টিম টাইগার্স। সেমিফাইনালের স্বপ্ন তখন একটু হলেও উঁকি দিতে শুরু করেছিল, এমন অবস্থায় ভারত ম্যাচের আগে নিশ্চিন্তে ঘুমানোই তো কঠিন। অথচ এই পেসার দেরিতে উঠার কারণে টিম বাস মিস করেছেন। পরে তাঁকে আলাদাভাবে মাঠে নিতে হয়েছিল।
তাঁর চরম অপেশাদারিত্ব সেদিন প্রকাশ পেয়েছিল বটে, কিন্তু এর চেয়ে বেশি অপেশাদারিত্ব দেখিয়েছেন কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে নিজেই। শিষ্যের ওপর রাগ দেখাতে গিয়ে দলের ক্ষতি করে বসেছেন। তাসকিনকে যদি একাদশে রাখা না-ও হয়, তবু শরিফুল ইসলামকে অনায়াসে সুযোগ দেয়া যেতো।
ভারতের সাথেই প্রস্তুতি ম্যাচে চোট পাওয়া এই তরুণ ততদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। তাছাড়া বাঁ-হাতি হওয়ায় ভারতীয় ব্যাটারদের বিপক্ষে বাড়তি সুবিধা পেতেন তিনি। অথচ ক্ষোভের কারণেই পেসারের সংখ্যা কমিয়ে ফেলেন হাতুরু, সে জায়গায় বাড়তি এক ব্যাটারকে খেলান; এই সিদ্ধান্ত পরে বুমেরাং হয়েছে।
প্রথমবারের মত জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক হতে পেরেছেন ঢাকা এক্সপ্রেস। আর প্রথম মিশনেই অমার্জনীয় ভুল করে বসলেন, সেজন্য পরে অবশ্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। তবে হেডকোচ যা করলেন সেটার যৌক্তিকতা এখনো পাওয়া যায়নি, এ যেন স্বেচ্ছাচারিতার অনন্য উদাহরণ।
ভারত ম্যাচে তিন পেসার খেলালেই দল জিততো ব্যাপারটি এমন নয়। তবে তিন পেসার খেলানো হলে অন্তত জয়ের চেষ্টা ফুটে উঠতো, একটা পরিকল্পনার ছাপ থাকতো। কিন্তু সেই ম্যাচে এলোমেলো ছিল পুরো বাংলাদেশ, স্রেফ কিছু ভুল আর অপ্রয়োজনীয় রাগের জন্য।