দুবাইয়ের তপ্ত হাওয়ায় বলটা উড়ছিল বাতাসে। সময় যেন একটু থমকে গিয়েছিল। তাসকিন আহমেদ দুই হাত তুলে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকছিলেন। যেন ভাগ্যের কাছে প্রার্থনা — ‘উপরওয়ালা রক্ষা করো! এবার যেন হাত না ফসকায়!’ মাঠ বদলায়, প্রতিপক্ষ বদলায়, মঞ্চ বদলায়—কিন্তু কেন যেন তাসকিনের বলেই বেশি ক্যাচ মিস হয়!
কিন্তু, এবার ভাগ্য সদয় ছিল। রিশাদ হোসেন পা পিছলে যেতে দেননি, বল তালুবন্দী করেই রোহিত শর্মাকে সাজঘরের পথ দেখালেন। তাসকিনের মুখে তখন একরাশ স্বস্তি, যেন অনেক দিনের একটা অভিশাপ কাটল।
তবে, ভাগ্যের সামান্য তারতম্য হলেই গল্পটা অন্যরকম হতে পারত। রোহিত শর্মার ব্যাট বলের সাথে ঠিকমতো সংযোগ ঘটাতে পারলে হয়তো বাউন্ডারির বাইরে গিয়েই থামত। কিন্তু সেটি হয়নি। তবে আউট হওয়ার আগে ভারতীয় অধিনায়ক তার কাজটা ঠিকই সেরে গেছেন।
৩৬ বলে ৪১ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ১১৫-এর কাছাকাছি। সাতটি চার হাঁকিয়ে, বাংলাদেশের ২২৮ রানের জবাবে শুরুর ঝড়টা ভারতকে এনে দিয়ে গেছেন। দুবাইয়ের মন্থর উইকেটেও ব্যাটিং যেন সহজ হয়ে গিয়েছিল তার হাত ধরে। ওপেনিংয়ে নেমে এই দায়িত্বই তো এখন পালন করেন রোহিত শর্মা। বড় ইনিংস নয়, দলের জন্য বড় সূচনা এনে দেওয়া—এটাই তার প্লেয়িং রোল।
এভাবেই তো তিনি ভারতকে দুটি আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে তুলেছেন, দু’টো ভিন্ন ফরম্যাটে। একটিতে জিতিয়েছেনও। ভারতকে এগিয়ে দেওয়ার কাজটা করেই তিনি বিদায় নিলেন, রেখে গেলেন এক ঝাঁক শটের স্মৃতি আর ক্যারিয়ারের আরেকটি মাইলফলক—১১ হাজার রানের ক্লাবে নাম লিখিয়ে!