দুই ওভারে ১৯ রান নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটা শক্তপোক্ত শুরু। ঠিক তখনই দৃশ্যপটে হাজির তাসকিন আহমেদ। বোলিং প্রান্তে এসেই তুলে নেন ব্র্যান্ডন কিংয়ের উইকেট। ঠিক তখন থেকেই যেন মোমেন্টাম বাংলাদেশের পক্ষে ঝুকতে শুরু করে। এরপর ক্যারিবিয়ানদের কফিনে শেষ পেরেকটাও ঠুকে দেন তাসকিন।
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও বাংলাদেশের পুঁজি স্বল্প রানের। এত অল্প রান ডিফেন্ড করা ভীষণ কঠিন, সেটা নিশ্চয়ই অজানা নয়। অন্যদিকে একটা দারুণ শুরুও পেয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেওয়ার পরিকল্পনাই যেন ছিল ক্যারিবিয়ানদের।
কিন্তু টাইগারদের পেস ইউনিটের নেতা তাসকিন তেমনটি কেন হতে দেবেন? নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন তাসকিন। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের চ্যানেল ধরে এগিয়ে গেল তাসকিনের বল। যাত্রাপথে ব্র্যান্ডন কিংয়ের ব্যাটে সামান্য ছোঁয়া নিয়ে লিটন দাসের দস্তানায় জমা হল তাসকিনের ছোড়া বল।
আট রানে ফিরে গেলেন ক্যারিবিয়ান ওপেনার। ঠিক তিন বলে পরে আবারও উইকেটের ট্যালিতে নাম তুললেন তাসকিন। এবার আন্দ্রে ফ্লেচারকে ফেরালেন শূন্যরানে। হুট করেই পরিস্থিতির পরিবর্তন। বাংলাদেশ স্বল্প রান ডিফেন্ড করার বিশ্বাসটাও পেতে শুরু করে।
দুই উইকেট প্রাপ্তির সেই ওভারে তাসকিনের খরচ মাত্র ৪ রান। এরপর দ্বিতীয় ওভারেও বেশ টাইট বোলিংয়ের দেখা মিলল তাসকিনের কাছ থেকে। এবার তার খরচা তিন রান। একই ধারা অব্যাহত থাকলে তাসকিনের ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারেও।
তাসকিনের উইকেট প্রাপ্তির পরই যেন বাংলাদেশের গোটা বোলিং ইউনিট জ্বলে ওঠে। প্রায় প্রতিটা বোলারই উইকেট শিকারের উৎসবে নামলেন। যে উৎসব তাসকিন শুরু করেছিলেন, সে উৎসবের শেষটাও তিনিই করলেন। ক্যারিবিয়ানদের শেষ ব্যাটার আকিল হোসেনকে আউট করে জয় নিশ্চিত করেন তাসকিন।
তাতে করে ১২৯ রানের সংগ্রহ নিয়েও ২৭ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তাসকিন ও তার সতীর্থরা মাত্র ১০২ রানেই অলআউট করে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ২-০ ব্যবধানে সিরিজ বাংলাদেশের হয়ে যায়। এখন শুধু অপেক্ষা স্বাগতিকদের ধবল ধোলাই করবার।