ব্রেন্ডন টেলরের অবিশ্বাস্য-মহাকাব্যিক সেঞ্চুরি!

অবশেষে ব্রেন্ডন টেলর ফিরলেন চেনা রূপে। ৫৪ বলে ১২৩ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে ধ্বংসাত্মক মেজাজে নিজেকে আবিষ্কার করলেন। এখনও যে তিনি হারিয়ে অথবা ফুরিয়ে যাননি, তার একটা ঝলক দেখালেন।

অবশেষে ব্রেন্ডন টেলর ফিরলেন চেনা রূপে। ৫৪ বলে ১২৩ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে ধ্বংসাত্মক মেজাজে নিজেকে আবিষ্কার করলেন। এখনও যে তিনি হারিয়ে অথবা ফুরিয়ে যাননি, তার একটা ঝলক দেখালেন।

আফ্রিকান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রথম ম্যাচেই উগান্ডার বিপক্ষে খেলেছিলেন ২৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। তাতে যেন তৃপ্তি মেটেনি। ক্রিকেটের ময়দানে প্রত্যাবর্তনের পর যে কোনো অবিশ্বাস্য রূপকথা ব্যাট দিয়ে লিখতে পারেননি। তবে এবার লিখলেন, বতসোয়ানার বিপক্ষে অনবদ্য সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে।

দলীয় ইনিংসের শুরতেই দ্রুত উইকেট হারানোর পর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন টেলর। প্রথম থেকেই মারমুখী ভঙ্গিতে চালাতে থাকেন ব্যাট। তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডবে বতসোয়ানার বোলাররা তখন দিশেহারা। সতীর্থ ব্রায়ান বেনেটকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন ৫১ বলে ১২২ রানের জুটি। বেনেট থামলেও টেলর চালিয়ে যান ঝড়।

৪৬ বলে শতক পূর্ণ করেন। এরপরও চলতে থাকে তাঁর লাগামহীন ব্যাট। তবে শেষ পর্যন্ত ইনজুরির কারণে ৫৪ বলে ১২৩ রানে রিটায়ার্ড আউট হয়ে ফেরেন। ইনিংস জুড়ে হাঁকিয়েছেন পাঁচ ছয় আর ১৬ চার, ব্যাট করেছেন প্রায় ২২৮ স্ট্রাইক রেটে।

সব মিলিয়ে এটি ছিল জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংস। টেলরের ব্যাটে ভর করে জিম্বাবুয়ে পৌঁছে যায় ২৫৯ রানের সংগ্রহে। বতসোয়ানা অবশ্য খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি। ২০ ওভার শেষে তাঁদের ইনিংস থামে মাত্র ৮৮ রানে। অর্থাৎ ১৭০ রানের বিশাল জয় পায় জিম্বাবুয়ে।

টেইলরের এই ইনিংসটা জিম্বাবুয়ের জন্য যেমন আশার বাণী, টেলরের দরকার ছিল খুব বেশি। শেষবেলায় নিজেকে প্রমাণের একটা সুযোগ খুঁজছিলেন তিনি। সেটা যে অবশেষে পেলেন, এই মহাকাব্যিক ইনিংসের মাধ্যমে।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link