আর দিন দুয়েকের অপেক্ষা, এরপরই অনুষ্ঠিত হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিনি নিলাম। মাঠের খেলার মতই টেবিলের এই খেলা নিয়েও ভক্ত-সমর্থকদের ব্যাপক আগ্রহ। কে কত দামে দল পাচ্ছেন, কারাই বা অবিক্রীত থেকে যাচ্ছেন নিলাম শেষে এসব নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল থাকে সবার মাঝে।
অবশ্য এবার ভারতের একাধিক বড় নামের ক্রিকেটার দল পাবেন না বলে ধারণা করা যাচ্ছে। অফ ফর্ম, অধারাবাহিকতার কারণে এসব ক্রিকেটারদের দিকে ততটা মনোযোগী নয় ফ্রাঞ্চাইজিগুলো।
- উমেশ যাদব
কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে গত বছরেও খেলেছিলেন উমেশ যাদব। এর আগের মৌসুমে তো ১৬ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা বোলার ছিলেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক মাসে বদলে গিয়েছে সব কিছু, চোটের সাথে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত এই পেসার হারিয়ে বসেছেন নিজের ফর্ম। সর্বশেষ আসরে কেবল এক উইকেট নিতে পেরেছিলেন, তাই কলকাতাও ধরে রাখেনি তাঁকে।
একই কারণে হয়তো নিলামের টেবিলে দুই কোটি ভিত্তিমূল্যের এই তারকার দিকে হাত বাড়াবে না কোন দল। বুড়িয়ে যাওয়া, চোটপ্রবণ এক পেসারকে কোন দলই-বা নিতে চাইবে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে।
- হনুমা বিহারী
টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে খ্যাত হনুমা বিহারী ক্যারিয়ারে আইপিএল খেলার সুযোগ পেয়েছেন মোটে তিনবার – ২০১৩, ২০১৫ এবং ২০১৯। প্রতিবারই বলার মত কিছু করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি, তাঁর ব্যক্তিগত সেরা মৌসুম ছিল ২০১৩। অথচ পরিসংখ্যান সাদামাটা – ১৭ ম্যাচে ২৪১ রান।
চলতি বছর সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফিতে রান পেলেও বড় দলের সঙ্গে তাঁর পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। রঙিন পোশাকে গড়পড়তা মানের এই ব্যাটার আরেকবার আইপিএল খেলবেন সেই সম্ভাবনা তাই একেবারে ক্ষীণ।
- বরুণ অ্যারন
২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের অংশ ছিলেন বরুণ অ্যারন। কিন্তু কখনোই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা হয়নি তাঁর, তবে আইপিএলে মোটামুটি নিয়মিত খেলেছেন তিনি। ২০২২ সালে গুজরাট টাইটান্সের শিরোপাজয়ী দলের একজন ছিলেন এই পেসার, যদিও ব্যক্তিগতভাবে তাঁর পারফরম্যান্স ছিল বড্ড অনুজ্জ্বল।
দুই ম্যাচে ১০ এর বেশি ইকোনমিতে নিয়েছেন কেবল দুই উইকেট। আবার গত এক ম্যাচ ধরে ঘরোয়া অঙ্গনে বিশ ওভারের কোন ম্যাচই খেলেননি তিনি। পর্দার আড়ালে চলে যাওয়া এমন একজন ক্রিকেটারের চেয়ে নিশ্চয়ই তরুণদের উপর বিনিয়োগ করাটাই ভাল। সেটাই সম্ভবত করবে ফ্রাঞ্চাইজিরা, আর এজন্য আইপিএলে দেখা নাও যেতে পারে অ্যারনকে।