সংঘাতের ছোবলে ভারতের এশিয়া কাপ বর্জন

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চলে গিয়েও রেখে গেছে বিষ দাঁত। যার প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে ক্রিকেট মাঠে। তাই তো এবার এশিয়া কাপ ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রত্যাহার করে নিতে চলছে ভারত।

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চলে গিয়েও রেখে গেছে বিষ দাঁত। যার প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে ক্রিকেট মাঠে। তাই তো এবার এশিয়া কাপ ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রত্যাহার করে নিতে চলছে ভারত।

বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, এ বিষয়ে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (এসিসি)।

ভারতের সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে এসিসির বর্তমান সভাপতি মোহসিন নাকভির পরিচয়। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পিসিবির চেয়ারম্যান হওয়ায় নাকভির নেতৃত্বে আয়োজিত টুর্নামেন্টে ভারত অংশ নিতে অনিচ্ছুক। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি দেশের আবেগ জড়িয়ে থাকা বিষয়ে ভারত এমন কারও নেতৃত্বে খেলতে পারে না, যিনি রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মন্ত্রী।

সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য ছেলেদের এশিয়া কাপ এবং তার আগে জুনে মেয়েদের ইমার্জিং এশিয়া কাপে অংশ নেবে না বলেই জানিয়েছে ভারত। যদিও মোহসিন নাকভি পদত্যাগ করলে ভারতের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি বিসিসিআই।

ভারতের এই সিদ্ধান্ত এসিসির জন্য বড় ধাক্কা। কারণ সম্প্রচারস্বত্ব বিক্রির সময় সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্কের সঙ্গে একটি অনানুষ্ঠানিক সমঝোতা হয়েছিল, যাতে প্রতিটি আসরে অন্তত দুটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থাকবে। কিন্তু ভারত সরে দাঁড়ালে সেই শর্ত পূরণ না হওয়ায় এসিসিকে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।

এশিয়া কাপের খরচ প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর বেশির ভাগই আসার কথা ছিল সম্প্রচারস্বত্ব থেকে, যার ৭৫% রাজস্ব পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ—বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের মধ্যে ভাগ হওয়ার কথা। এখন ভারতের অনুপস্থিতিতে সেই পুরো কাঠামোই ভেঙে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

মাঠের লড়াই ছাপিয়ে রাজনৈতিক বিরোধ ক্রিকেটকে কেবল ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ভারতের এমন অবস্থানে তাই তো প্রশ্ন উঠছে—ক্রিকেট কি তাহলে রাজনীতির খেলায় বন্দি হয়ে পড়ছে?

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link