চমক দিয়েই শেষ হলো দ্বিতীয় দিন

প্রথম দিনে ১৪ উইকেটের পতন ,দ্বিতীয় দিনেও তাই হলো। টেস্ট ক্রিকেটের আদর্শ ম্যাচ যেমন হওয়া দরকার ঠিক তেমনটাই হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-আফ্রিকার ফাইনালে। নাটক, চমক কিংবা প্রতি মূহুর্তের উন্মাদনা সবটা জুড়ে জমে উঠেছে লর্ডসের ফাইনাল।

প্রথম দিনে ১৪ উইকেটের পতন ,দ্বিতীয় দিনেও তাই হলো। টেস্ট ক্রিকেটের আদর্শ ম্যাচ যেমন হওয়া দরকার ঠিক তেমনটাই হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-আফ্রিকার ফাইনালে। নাটক, চমক কিংবা প্রতি মূহুর্তের উন্মাদনা সবটা জুড়ে জমে উঠেছে লর্ডসের ফাইনাল।

প্রথম দিনের খেলায় ২১২ রানে অজিদের আটকে দিয়ে সম্ভাবনা বুনেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেই সম্ভাবনা তুড়িতে উড়িয়ে দেন প্যাট কামিন্স। ছয় উইকেট নিয়ে আফ্রিকার ব্যাটিং অর্ডারকে ধুলোয় মিশিয়ে দেন। দ্বিতীয় দিনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় বাভুমার দল।

৭৪ রানের লিড অস্ট্রেলিয়ার হাতে, চালকের আসনে তখন তারা। প্রথম ইনিংসের বিপর্যয় যে এই দ্বিতীয় ইনিংসে পড়বে না তা যেন অনুমেয় ছিল। তবে  আসল চমকটা বাকি ছিল তখনও। অজিদের চমকে দিয়ে পাশার দান উল্টে দেয় রাবাদা-এনগিডি-ইয়ানসেনরা।

আফ্রিকার এই পেস ত্রয়ীর আগুনে বোলিংয়ে রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় অজি ব্যাটিং অর্ডার। নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকা অস্ট্রেলিয়া ৭৩ রানেই হারিয়ে ফেলে সাত উইকেট। লিডটা তখন মাত্র ১৩৮ রানের,দলের সব ভরসাযোগ্য নাম সাজঘরে ফিরেছে।

একপর্যায়ে যখন মনে হচ্ছিলো ১০০ রানের মধ্যেই শেষ হবে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস ,তখনই আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন অ্যালেক্স ক্যারি। রাবাদার শিকার হওয়ার আগে খেললেন ৪৩ রানের লড়াকু এক ইনিংস।যার ফলে  ২১৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে অস্ট্রেলিয়া।

কঠিন কন্ডিশনে পিছিয়ে থেকেও মনোবল ধরে রাখা, দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফিরে আসে। দুই দলের এমন চিত্র দেখা গেল প্রতি সেশনেই। সবমিলিয়ে ফাইনাল যেন নিজের আসল রূপ দেখাচ্ছে।

অপেক্ষাটা এখন তৃতীয় দিনের । দুই দলের জন্য  গুরুত্বপূর্ন দিন হতে যাচ্ছে এটি। অজিদের আধিপত্য বজায় থাকবে নাকি আফ্রিকার শিরোপা খরা কাটবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে ফাইনাল ম্যাচ যে রোমাঞ্চ তৈরি করেছে এটাই হয়তো টেস্টের আসল সৌন্দর্য।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link