কি অথর্ব এক টপ অর্ডার!

ম্যাচ শুরুর আগেই বলে দেয়া যায় পাওয়ার প্লের মধ্যেই টপ অর্ডার প্যাভিলিয়নে ফেরত যাবে – এতটাই অথর্ব অবস্থা বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটারদের। বড় দল নাকি ছোট দল, পেস বান্ধব নাকি স্পিন বান্ধব উইকেট কিছুই আসলে আসে যায় না তাঁদের জন্য। প্রতি ম্যাচেই কত দ্রুত আউট হওয়া যায় সেই প্রতিযোগিতা করেন তাঁরা।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জেতার পর নেপাল ম্যাচে অনেকটাই নির্ভার থাকার কথা ব্যাটারদের। অথচ সবার চোখেমুখে হীনমন্যতার ছাপ। চিন্তিত মুখ নিয়ে বাইশ গজে আসছেন, খানিকটা দম ফেলার আগেই ফিরে যাচ্ছেন আবার।

এইতো তানজিদ হাসান তামিম আগের ম্যাচেই কি দুর্দান্ত খেললেন, অথচ এদিন কি হলো কি জানি। প্রথম বলেই অহেতুক চার্জ করতে গিয়ে বোলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসলেন। নতুন পিচে খেলা, অন্তত পিচের ধরন বোঝার সুযোগও নিজেকে দিলেন না তিনি।

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তো পণ করেছেন রান করবেন না। একটার পর একটা ম্যাচ খেলছেন আর ব্যর্থতার সংখ্যা বৃদ্ধি করছেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলেও মোট রান ত্রিশ পার হয়নি তাঁর; যদিও দলের অধিনায়ক হিসেবে কঠিন উইকেটে এই বাঁ-হাতির উচিত ছিল সামনে থেকে দায়িত্ব নেয়া। কিন্তু তিনিই ভুগছেন রান খরায়।

ব্যতিক্রম নন লিটন দাসও, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রান করার পর টানা তিন ম্যাচে হতশ্রী ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখালেন। ওপরের তিন ব্যাটারের যখন এমন দুরাবস্থা তখন এমন ব্যাটিং ধ্বস অনুমেয় ছিল। সব ম্যাচে মিডল অর্ডার হাল ধরবে সেই আশায় তো মাঠে নামা যায় না। তবে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ সেই আশাতেই খেলে, তাই তো দায়িত্ব নেয়ার বালাই নেই অন্যদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link