কোচ এবং ম্যানেজমেন্টের উচ্চাভিলাষী চাওয়াটাই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে নাহিদ রানার জন্য। যার ফলস্বরূপ, অনিশ্চয়তায় হারিয়ে যেতে বসেছেন এই পেস সেনসেশন। বোলিংয়ের ধার কমেছে, গতির ধারাবাহিকতাও নেই। কেন এমন হলো, সমস্যাটা আসলে কোথায়?
বাংলাদেশ ক্রিকেটে পেস বিস্ময় হিসেবেই আবির্ভাব ঘটে নাহিদ রানার। ১৫০ এর বেশি গতি তুলে রাতারাতি বনে যান ‘গতি তারকা’। তাঁর পেস সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে ব্যাটারদের। শুরুতে তাই তো পরম যত্নে তাঁকে আগলে রেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ফলস্বরূপ, গত বছরে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জয়ে মুখ্য ভূমিকা ছিল তাঁর। দ্বিতীয় টেস্টে পাঁচ উইকেট তুলে একাই ধসিয়ে দেন স্বাগতিকদের। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ১৫ বছরের জয়খরা দূর করেন তিনি। জ্যামাইকার টেস্টে ঝুলিতে পুরেন ছয় উইকেট।

সাদা পোশাকের এই সাফল্য লোভ বাড়িয়ে দেয় ম্যানেজমেন্টের ডেরায়। অভিষেক হয় ওয়ানডে ফরম্যাটেও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও সুযোগ মিলে যায়।
টি-টোয়েন্টির দরজা খুলতেও বেশি সময় লাগেনি। এ বছরের মে মাসে আরব আমিরাতের বিপক্ষে অভিষেক ঘটে। তবে বিসিবি তাঁকে টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ দেওয়ার পক্ষপাতী ছিল না। মূলত ফিল সিমন্সের অনুরোধেই বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত আসে।
ঐ এক ম্যাচই খেলেছেন তিনি। চার ওভারে ৫০ রান দিয়ে নিয়েছিলেন দুই উইকেট। পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডাক পেলেও সে সিরিজে নিজের নাম প্রত্যাহার করেন তিনি।

এসবের মাঝেই লাল বলের ক্রিকেটে ছন্দ হারিয়ে ফেলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্ট খেলে মাত্র এক উইকেট পেয়েছেন। লাইন-লেংথ কিংবা গতি সবকিছুই যেন একপ্রকার অতীত হয়ে গিয়েছিল।
ওয়ানডে একাদশে সুযোগ মেলেনি, ছিলেন না টি-টোয়েন্টি দলেও। স্বাভাবিক ভাবেই এশিয়া কাপের দলেও সুযোগ মেলেনি। যেন ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসছেন তিনি।
আগের মতো এক্সপ্রেস পেসে বোলিং করতে পারছেন না নাহিদ রানা। গতি ছাড়া নাহিদের বোলিংয়ে তেমন বিশেষ কিছু নেই। তাই টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা কমেছে, এছাড়াও চোটের শঙ্কা রয়েছে। সবমিলিয়ে যা প্রভাব ফেলছে তাঁর মানসিকতায়। আর তাই যত্নের অভাবে অমূল্য রত্ন হারিয়ে যেতে বসেছে।












