পাকিস্তান ক্রিকেটে পরম আরাধ্য হয়ে এসেছিলেন বাবর আজম, কিন্তু হঠাৎ ঝড়ে এলোমেলো হয়ে গেল সব। রান করতেই ভুলে গেলেন তিনি, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে রীতিমতো ফ্লপ অব দ্য টাউন হয়ে গিয়েছেন। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১ রানের ইনিংস খেলার পর থেকে তাঁর ব্যাটে নেই কোন সেঞ্চুরি বা হাফ-সেঞ্চুরি।
বাধ্য হয়ে তাঁকে বিশ্রাম দিয়েছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট, সোজা বাংলায় সাময়িক সময়ের জন্য বাদ দেয়া যাকে বলে। কিন্তু লাভের লাভ হলো না, বিরতি কাটিয়ে দলে ফিরে পুরনো ব্যর্থতার রেশই টেনে এনেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে এই ডান-হাতি আউট হয়েছেন মাত্র ৪ রানে। দুই ওভারের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়া পাকিস্তানকে আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছেন তিনি।
তাও যদি দুর্ধর্ষ কোন ডেলিভারিতে আউট হতেন এই ব্যাটার, দর্শকরা হয়তো মেনে নিতে পারতো। কিন্তু তিনি যেভাবে উইকেট দিয়ে আসলেন সেটা হতাশাজনক। অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল, ফুটওয়ার্কের ধার ধারেননি তিনি; চালিয়ে দিয়েছেন ব্যাট। এরপর যা হওয়ার তাই হলো, দ্বিতীয় স্লিপে আটকা পড়লেন। ম্যাচ পরিস্থিতি আর তাঁর ওপর প্রত্যাশা বিবেচনায় এমন দৃশ্য সত্যিই চোখের বিষ।
২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর – কেটে গিয়েছে দুই বছর। বাবর এরই মাঝে খেলেছেন ১০টা টেস্ট ম্যাচ, ব্যাট করেছেন ১৮ ইনিংস। এ সময় তাঁর ব্যাটিং এভারেজ বিশের গণ্ডিও স্পর্শ করতে পারেনি!
এই তারকার ফর্ম কতটা বিবর্ণ সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যার কি না দলের ব্যাটিং লাইনআপের মূল স্তম্ভ হওয়ার কথা, তিনিই যদি রান খরায় ভুগেন তাহলে আর বলার কি’বা থাকে। বিরাটের দুঃসময়ে তিনি যা বলেছিলেন সেটাই এখন তাঁকে বলতে হয় – ‘স্টে স্ট্রং, দ্যাট ঠু শ্যাল পাস’।