২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছিলেন বিরাট কোহলি, এরপর কেটে গিয়েছে ১৪ মাস। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে তিনি আবার ফিরেছেন মাস দুয়েক আগে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে। তবে এমন লম্বা বিরতিও মরচে ধরাতে পারেনি তাঁর ব্যাটে, চলমান আইপিএলে সেটাই যেন প্রমাণ করছেন এই ব্যাটার। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পর কলকাতার বিপক্ষেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এদিন ৫৯ বলে ৮৩ রান করেন এই তারকা। সমান চারটি চার ও চারটি ছয়ের সাহায্যে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি, আর এতে ভর করেই ১৮২ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু৷
ওপেনিংয়ে নামা এই ডানহাতি শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন, প্রথম বলেই মিচেল স্টার্ককে চার মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন। অজি পেসারের দ্বিতীয় ওভারে আবার একটা চার ও একটা ছক্কা হাঁকান তিনি। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই চেনা রূপে দেখা যায় তাঁকে, স্ট্রাইক রোটেটের পাশাপাশি নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন।
৩৬ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন এই তারকা; সেই সাথে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে টপকে ব্যাঙ্গালুরুর ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক বনে গিয়েছেন। শেষপর্যন্ত বিশ ওভার শেষে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন তিনি, পিচ ধীরগতির হয়ে যাওয়ায় ডেথ ওভারে অবশ্য প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে দেখা যায়নি তাঁকে। যদিও তাতে এমন পারফরম্যান্সের গুরুত্ব কমেনি একটুও।
আগের ম্যাচে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৪৯ বলে ৭৭ রান করেছিলেন ব্যাঙ্গালুরুর পোস্টার বয়। ১৭৭ রানের লক্ষ্য সহজ হয়ে গিয়েছিল তাঁর বদৌলতে, তাই তো ম্যাচসেরার পুরষ্কার তাঁকেই দেয়া হয়েছে। টানা দুই ম্যাচে দুই ফিফটি, ইনসাইড আউট শট, কবজির মোচড়ে বাউন্ডারি কিংবা ফিটনেস – তিনি আসলেই বদলাননি।
টি-টোয়েন্টির তথাকথিত হার্ডহিটার নন বিরাট কোহলি, ‘পিউর ক্লাস’ বলা চলে তাঁকে। তাই তো বিশ্বকাপে তাঁর জায়গায় কোন হার্ডহিটারকে জায়গা দেয়ার ভাবনা ছিল টিম ম্যানেজম্যান্টের মনে। সেটা একেবারে পছন্দ হয়নি এই ব্যাটারের, তাই তো আইপিএল দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন নিজের সামর্থ্য। এরপরও বিশ্বকাপ দলে তাঁকে রাখা না হলে অন্যায় হবে ক্রিকেটের প্রতি।