রুপকথার নায়ক রিও নগুমোহা!

প্রিমিয়ার লিগে নিজের অভিষেক ম্যাচে সুযোগ পেলেন অতিরিক্ত সময়ে। আর মাঠে নামার ৪ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে জেতালেন। এক অর্থে, রিও নগুমোহা এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। বয়সটা সবে ১৬ বছর, তবে তাতে কি, নিজেকে চেনাতে সময় নিলেন মাত্র চার মিনিট।

প্রিমিয়ার লিগের মঞ্চে নিজের অভিষেক ম্যাচে সুযোগ পেলেন অতিরিক্ত সময়ে। আর মাঠে নামার ৪ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে জেতালেন। এক অর্থে, রিও নগুমোহা এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। বয়সটা সবে ১৬ বছর, তবে তাতে কি, নিজেকে চেনাতে সময় নিলেন মাত্র চার মিনিট।

লিভারপুল-নিউক্যাসল ম্যাচে তখন উত্তেজনা চূড়ায় উঠেছে। নির্ধারিত সময় শেষ হয় ২-২ গোলে সমতায়। সবাই তখন ধরেই নিয়েছিল ফলাফল ড্রতেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে নগুমোহা যেন রূপকথার নায়কের বেশে আবির্ভূত হলেন। যে মুহূর্তের মধ্যেই বদলে দিতে পারে ম্যাচের চিত্র।

অতিরিক্ত সময়ে কোডি গাকপোর বদলে মাঠে নামলেন। নিজের পাওয়া সময়টুকু ম্যাড়মেড়ে ভাবে শেষ করতে বোধহয় মন চায়নি তাঁর। মাঠে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই সব আলো নিজের দিকে করে নিলেন, দুর্দান্ত এক শটে নিউক্যাসলের জালে বল জড়িয়ে বনে গেলেন নায়ক।

 

শুধু তাই নয়, রেকর্ড বইয়ের পাতায় নিজের নাম তুলে রাখলেন। লিভারপুলের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা এখন তিনি। সেই সাথে প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা ট্যাগ নামের পাশে জুড়ে নিলেন। আর এখন সবটা জুড়ে একটাই আলোচনা, কে এই রিও নগুমোহা?

লিভারপুলের মতো দলে মাত্র ১৬ বছরে অভিষেক করা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। নগুমোহারের যাত্রা শুরু হয়েছিল চেলসিতে। বয়সটা তখন আট বছর। ২০১৬-২০২৪ ওখানেই বেড়ে উঠেছেন, গড়েছেন নিজের ফুটবল প্রতিভা। সবাই তখন ধরেই নিয়েছিল, চেলসির সেরা অস্ত্র হবেন নগুমোহা।

তবে তিনি চেলসির সীমানায় আটকে থাকতে চাইলেন না, চলে গেলেন লিভারপুলে। তাঁকে হারিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল চেলসি।

লিভারপুলে যাত্রাটা শুরু করেছিলেন অনূর্ধ্ব ১৮ দলের হয়ে। তবে প্রতিভা যেখানে সীমাহীন সেখানে বয়সের গণ্ডি আর কতটুকুই বা বাধা মানে। রিও নগুমোহা দ্রুতই চলে এলেন লিভারপুলের মূল দলে।

বয়স যাই হোক ফুটবলে তার পরিপক্বতা নজরে আসে সবারই। তবে একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন নিজের নাম ছড়িয়ে দেওয়ার। সেই সুযোগটাই কাজে লাগালেন, আর বুঝিয়ে দিলেন হিরো হতে গেলে চার মিনিটই যথেষ্ট!

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link