দ্য ফ্যামিলি ম্যান

মাঠে তাঁরা একেকজন যোদ্ধা। পরিপূর্ণ একেকজন বীর। ভক্ত-সমর্থকদের জন্য তাঁরা দূর আকাশের তারা। কিন্তু, মাঠের আলো নিভলে তাঁরাও তো রক্ত মাংসেরই মানুষ। আবেগ-অনুভূতি ছুঁয়ে যায় তাঁদেরও।

মাঠে তাঁরা একেকজন যোদ্ধা। পরিপূর্ণ একেকজন বীর। ভক্ত-সমর্থকদের জন্য তাঁরা দূর আকাশের তারা। কিন্তু, মাঠের আলো নিভলে তাঁরাও তো রক্ত মাংসেরই মানুষ। আবেগ-অনুভূতি ছুঁয়ে যায় তাঁদেরও।

আর আসল বিশ্বজয় তো পরিবারের হাসিই। যাদের আলিঙ্গনেই জীবনের প্রকৃত শান্তি। বিরাট কোহলির ক্ষেত্রে সেই শান্তি আনুশকা শর্মার আলিঙ্গনে মেলে। যেন পৃথিবী থেকে সমস্ত কষ্ট, চাপ, স্বপ্নের বলিষ্ঠ যাত্রা সব কিছু মিলিয়ে এক মধুর সম্মিলন। মাঠের বাহুল্য, শিরোপার চমক হারিয়ে যায় শুধুমাত্র তাদের একে অপরের পাশে থাকার দৃশ্যে।

আর রোহিত শর্মার জন্য, যেন সমস্ত কিছু শেষ হয়ে যায় হৃতিকার সান্নিধ্যে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মুহূর্তে, যখন সকলের চোখে শুধুই তার উদযাপন, রোহিতের চোখে শুধুই তার প্রিয়তমার মুখ—যেখানে লুকানো আছে তার সঠিক জায়গা, তার একান্ত ঠিকানা। সে ঠিকানা, যেখানে সুখ ও সমাপ্তির সঠিক সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায়।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মাঠের সমস্ত উল্লাসের মাঝেই, রোহিত আর কোহলি দুজনেই ফিরে যান সেই ঠিকানায়, যেখানে সত্যিকারভাবে তারা একজন রক্তমাংসের ওঠা মানুষ, পরিবারও তাদের জন্য সেই সত্যিকারের জায়গা। তারা মাঠে যেখানে জিতেছেন, সেখানে তাদের পরিবারের মধ্যে আসলে একটি নতুন ধরনের জয় প্রতিষ্ঠিত হয়—যেখানে তারা শুধুমাত্র চ্যাম্পিয়ন নন, পুরোদস্তুর ফ্যামিলি ম্যান।

পরিবার, এটাই তাদের জীবনের শেষ ঠিকানা। যেখানে জয়, পরাজয়, খ্যাতি—সবই শেষে মিলিত হয় এক নির্ভরশীলতা, এক স্নিগ্ধ পরিসরে।

Share via
Copy link