অধিনায়ক লিটন দাসের পূর্ণতা প্রাপ্তি

নেতিবাচক ব্যাটিং করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনে কি না, সেটা নিয়ে একটা দুশ্চিন্তা ছিল। কিন্তু, আর প্রেমাদাসায় প্রথম বল থেকেই যেভাবে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ, সেটাতে স্পষ্ট নেতিবাচকতা এখন দলের ব্যাটিংয়ের ধারের কাছেও নেই।

নেতিবাচক ব্যাটিং করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনে কি না, সেটা নিয়ে একটা দুশ্চিন্তা ছিল। কিন্তু, আর প্রেমাদাসায় প্রথম বল থেকেই যেভাবে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ, সেটাতে স্পষ্ট নেতিবাচকতা এখন দলের ব্যাটিংয়ের ধারের কাছেও নেই।

ইতিবাচক ব্যাটিং ম্যাচ জুড়ে তানজিদ হাসান তামিম করলেও, এর শুরুটা করে দিয়ে যান লিটন দাস। হ্যাঁ, লিটনের স্ট্রাইক রেট দেখে তাঁর ইন্টেন্ট বোঝা যাবে না, ২৬ বলে ৩২ রান করেছেন। তবে, তাঁর উদ্দেশ্য ছিল পরিস্কার – যত দ্রুত সম্ভব প্রতিপক্ষের সাথে ব্যবধান কমাতে হবে।

সেটাই করেছেন। তানজিদ হাসান তামিমকে ভরসা দিয়ে গেছেন। তামিম ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। লিটন তামিম দ্বিতীয় উইকেটে জুটিতে যোগ করেন ৭৪ রান। সেই শুরুটাই ম্যাচে বাংলাদেশের ভাগ্য গড়ে দেয়। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ।

পুরো ম্যাচ জুড়ে অধিনায়কত্ব দর্শনও পরিস্কার হয়ে উঠেছে লিটনের। আর এর অধিকাংশই আশার কথা বলে। শুরুতেই শেখ মেহেদী হাসানকে আক্রমণে নিয়ে আসা যেমন ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। শরিফুলকে দিয়ে শেষ ওভার করানো ছাড়া লিটনের অধিনায়কত্বে প্রেমাদাসায় কোনো ভুল ছিল না।

উইকেটের পেছন থেকে তিনি ক্রমাগত যোগাযোগ করে গেছেন বোলারদের। মেহেদীর ওভারে স্লিপে ফিল্ডার রেখে সাফল্য পান। আবার চারিথ আসালাঙ্কার উইকেট যেভাবে পেয়েছিলেন মেহেদী তাতেও আছে লিটনের অবদান।

উইকেটের পেছন থেকে বলছিলেন, ব্যাটিং ওপেন হয়ে গেছে – এবার স্ট্যাম্পের ওপর জোরে করতে হবে। মেহেদী তাই করেন, সাফল্যও পান। শামিম হোসেন পাটোয়ারিকে আক্রমণে আনেন রিশাদ হোসেনের আগে, যাতে করে বলটাকে আরেকটু পুরনো করে রিশাদের হাতে দেওয়া যায়।

অধিনায়ক হিসেবে এসব কলগুলো অধিনায়ক হিসেবে লিটনের পূর্ণতা প্রাপ্তির কথাই বলে। সাথে ব্যাট হাতে রান, সিরিজ সেরার পুরস্কারটা তাঁর হাতেই সবচেয়ে বেশি মানায়। এই লিটনকেই বারবার ফিরে পেতে চাইবে বাংলাদেশ, যিনি প্রতিপক্ষের চূড়ান্ত বিনাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত আক্রমণ চালিয়ে যাবেন।

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Share via
Copy link