নতুন চেহারার পাকিস্তান। কিন্তু, ফলাফল সেই লবডঙ্কা। বাবর আজম কিংবা মোহাম্মদ রিজওয়ানদের মত অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের বাদ দিয়ে স্রেফ আন্দাজের ওপর নির্ভর করে ব্যাট চালিয়েছে পাকিস্তান। এটাকে আগ্রাসন বলে না, নিউজিল্যান্ডের উইকেটে তো আরও নয়।
তার ফলে, সবচেয়ে বাজে যেটা হতে পারত তাই হল। ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ হল। এর চেয়ে বাজে সূচনা করা সম্ভবই ছিল না পাকিস্তানের পক্ষে। মাত্র ৯১ রানে অলআউট সালমান আলী আঘার পাকিস্তান।
দুই অংকের ঘরে গেলেন মাত্র তিনজন। ক্রাইস্টচার্চে ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের কতৃত্ব রাখে নিউজিল্যান্ড। প্রথম আট বলের ছয়টাই স্যুইং হয়। দু’জন আউট হন পাকিস্তানের।
দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ও হাসান নাওয়াজ – দু’জনই ডাক। মোহাম্মদ হারিস প্রথম ওভারের সবগুলো বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গেছেন কাইল জেমিসনের বলে। শেষ ডেলিভারিটায় শুধু বল ব্যাটে লেগেছে, ক্যাচ হয়েছে উইকেটরক্ষকের হাতে।
সেই ভুল থেকে শিক্ষা নেননি নাওয়াজ। তিনিও প্রথম বলে ডাউন দ্য উইকেটে যান, মিস করেন, দ্বিতীয় বলটা না দেখেই মারেন। ফলাফল থার্ড ম্যানে ক্যাচ।
এক রানের মধ্যে তিন উইকেট পড়ে পাকিস্তানের। ১১ রানে যায় চার উইকেট। ইনিংস মেরামতের কোনো সুযোগই মেলেনি। সালমান ১৮, খুশদিল ৩২ আর জাহানদাদ খান ১৭ রান করে দলের স্কোর একটা ভদ্রস্থ জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, ব্যর্থ হন, মাত্র ৯১ রানে শেষ হয় পাকিস্তান।
জ্যাকব ডাফি কিংবা কাইল জেমিসনদের সামনে কোনো জবাবই ছিল না পাকিস্তানের। অথচ, আইপিএলের জন্য নিউজিল্যান্ডও নিজেদের মূল একাদশে নামানোর সুযোগ পায়নি। মাইকেল ব্রেসওয়েলের নেতৃত্বে একটা আনকোড়া দল নেমেছে ক্রাইস্টচার্চে। সেটাও পাকিস্তানের ভাগ্য ফেরাতে পারল না।